ভারতীয় হাই কমিশন’র উদ্যোগে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগে ভারতের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পেশাদার কোর্সে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মিলনমেলা আয়োজিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী এবং আইসিসিআরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্মবার্ষিকীতে “বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া অ্যালামনাই রি-ইউনিয়ন ২০২১” শীর্ষক এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। রমনায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিক ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পরিষদ (আইসিসিআর), আয়ুর্বেদিক যোগ ইউনানি সিদ্ধ হোমিওপ্যাথি (আয়ুষ), ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটিইসি) বৃত্তি প্রকল্পসমূহের পাশাপাশি ভারতে অধ্যয়ন (এসআইআই) ও স্ব-অধ্যয়ন প্রকল্প (এসএফএস)। এসব প্রকল্পের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীই এখন বাংলাদেশে সরকার, প্রশাসন, শিক্ষা, বেসরকারি খাত এবং শিল্প ও সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট পদে রয়েছেন৷
সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ১৫০ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী দিবসটি উদযাপনের জন্য এসে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা কীভাবে এই কোর্সগুলি তাদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করেছেন সেসব ভাবনার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে ভারতের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণও করেছেন। তারা বর্তমান সময়ের চাহিদা পূরণে বৃত্তি কর্মসূচিগুলি কীভাবে সাজানো যেতে পারে সে সম্পর্কে মূল্যবান পরামর্শও দিয়েছেন।
ভারত সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা নতুন বৈশিষ্ট্যগুলিকেও এই অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি কর্মসূচি। এটা বৃত্তির পরিধিকে আরও বিস্তৃত করে তোলে। এই বছর বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত নতুন স্কিমটি ভারতের সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন কোর্স করার জন্য মেধাবীদের ব্যাপক সুযোগ প্রদান করবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.