ভাতাভোগী গ্রাহকরা হয়রানির শিকার উজিরপুরে সমাজসেবা অফিস ঘেরাও

উজিরপুর প্রতিনিধি: উজিরপুরে সমাজসেবা অফিস ঘেরাও করেছে শত শত সুবিধা বঞ্চিত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার হতদরিদ্র গ্রাহকরা। আজ রবিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র সদস্যরা উপজেলা চত্বরে এসে সমাজসেবা অফিস ঘেরাও করে রেখেছে। সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কর্মস্থলে না থাকায় সমস্যা সমাধানের ভোগান্তিতে পড়তে হয় সদস্যদের।
অবশেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চুর হস্তক্ষেপ ও সমস্যা সমাধানের আস্বাসে পরিবেশ শান্ত হয়। সদস্যদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার সদস্যরা এমআইএস ফরম পূরণ করে নগদ একাউন্টের মোবাইল নম্বর দেওয়ার পরেও অন্য নম্বরে টাকা ঢোকার কারণে তারা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন অফিসে ধর্ণা দিয়েও তারা কোন সমাধান পাননি।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বিধবা ভাতার গ্রাহক খুকু রানী দাস জানান, তার ভাতার প্রথম কিস্তি ৩ হাজার টাকা আসার কথা থাকলেও অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ০১৭৯১৬২৬০২৮ নম্বরে টাকা ঢুকেছে। কিন্তু তার প্রকৃত নম্বর দেয়া ছিল ০১৯৫৯৮৪৪১৭৮। ৭নং ওয়ার্ডের হাসিনা বেগম এর বই নম্বর ১৭৭২, হেনা বেগমের বই নম্বর ২৬১৫ তারা কোন টাকা পাননি।
এ ছাড়া জল্লা ইউনিয়নের বিধবা প্রমিলা পান্ডে তার মোবাইল নম্বর ০১৭৫৩৩১৮৫৫১। টাকা ঢুকেছে ০১৭২৮৮৬৩৬৬২ নম্বরে। বয়স্ক ভাতা অমল বাড়ৈ তার নগদ একাউন্ট নম্বর ০১৩০৫৩৫৪২৯১, টাকা ঢুকেছে ০১৩১৭০১১৮০৯ নম্বরে। ফুলমালা টাকার নগদ একাউন্ট নম্বর ০১৮৪৫৬৫২৩৭৭ টাকা ঢুকেছে ০১৮৭৫৬৫২৩৭৭ নম্বরে। ফুলরানির নগদ একাউন্ট নম্বর ০১৩০৫৩৫৮৮৬৮, টাকা ঢুকেছে ০১৭৪৬৩৯৪৩৭১ নম্বরে। মুকুন্দ ঘরামীর নগদ একাউন্ট নম্বর ০১৩২৩৬৪০৬৫৩, তিনি কোন টাকা পাননি। প্রতিবন্ধী মিরা রানী সরকার, বয়স্ক ভাতার ফটিক পান্ডে তারা কোন টাকা পাননি।
এ ছাড়া বড়াকোঠা ইউনিয়নের মালিকান্দা গ্রামের বয়স্ক ভাতার গ্রাহক সোবাহান বেপারীর বই নম্বর ৪৩১৪, প্রতিবন্ধী রাশিদা বেগমের বই নম্বর-২৯২৪, বয়স্ক ভাতার গ্রাহক আনোয়ারা বেগম, বই নম্বর ৬১১৪, তুলসী রানী মিস্ত্রী, বই নম্বর ১৫০৪, শাহে আলম মৃধার বই নম্বর ৩৩৩৫/১, প্রতিবন্ধী শাহজাহান বেপারীর বই নম্বর ২১৯৭, নূরে আলম খলিফার বয়স্ক ভাতার বই নম্বর ৫৭৪৮/১, প্রতিবন্ধী ফাতেমা খাতুনের বই নম্বর ১৬৯৮ শিকারপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বয়স্ক ভাতার গ্রাহক মানিক হাওলাদারের বই নম্বর ১৯১৭, তারা কোন টাকা পাননি বলে জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু সকল অসহায় সুবিধা বঞ্চিত গ্রাহকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকা যাতে সুষ্ঠু ভাবে পেতে পারে সে ব্যাপারে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহায় সুবিধা বঞ্চিত গ্রাহকদের সমস্যা নিরুপন করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বিটিসি নিউজকে জানান, গ্রাহকদের নিজেদের কারণেও কিছু ভুল ভ্রান্তি হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.