ভাঙ্গন কবলিত স্থানে পরিদর্শন করলেন বাগেরহাট-৪, এমপি মিলন

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে জোয়ারে স্রোতে পানিতে সাউথখালী অংশের বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে দু’ গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোব্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি।

তাকে এলাকাটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার পর নদী শাসনের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

বগেরহাটের শরণখোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ি বাঁধের দক্ষিণ সাউথখালী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে প্রায় ১০০ফুট বাঁধ বলেশ্বরে সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানি ঠেকাতে তাৎক্ষণিকভাবে ওইদিন রাত থেকেই ভাঙন এলাকায় জরুরী রিংবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।

২০০৭ সালে প্রলঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় বাগরহাট জেলা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার মানুষের সব থেকে জানমালের ক্ষতি হয়। এর পর থেকে ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে দুই উপজেলাবাসীর একটাই দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।

গত শুক্রবার সাউথখালি ইউনিয়নের বলেশ্বর নদীর পাড়ের গাবতলা-বগী গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের ৪০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান উপকূলীয় বাঁধ নির্মান প্রকল্পের (সিইআইপি) কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ভেঙে যাওয়া স্থানে জরুরি ভিত্তিতে একটি রিং বেড়িবাঁধ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আজ রোববার সকালে শরণখোলার ভাঙ্গন কবলিত স্থানে পরিদর্শনে যান বাগেরহাট-৪, আসন সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোব্ধা এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন মোড়েলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএমদাদুল হক, শরণখোলা আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোব্ধা সাইফুল ইসলাম খোকন, আওয়ামীলীগ নেতা আজমল হোসেন মুক্তা, আ. হক হায়দার, চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ শরণখোলা ইউপি চেয়াম্যান আসাদুজ্জামান মিলন প্রমুখ। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৫ সালে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি) নামে প্রকল্প হাতে নেয়। জমি অধিগ্রহণের পর ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি বেড়িবাঁধ ও সুইচগেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের প্রায় ৬০ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, ওই স্থানে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হলে শরণখোলা উপজেলার গাবতলা ও বগী দুই গ্রামের অনেক অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

তারা আরো বলেন, বাব-দাদার জমি সব বলেশ্বর নদীর ভাঙনে চলে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বলেন, ৩৫/১ পোল্ডারের অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বগী ও গাবতলা এলাকার দুই কিলোমিটার অংশে নদী শাসন ও জমি অধিগ্রহণ জনিত কিছু সমস্যা রয়েছে।

যার ফলে ওই স্থানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। ভাঙন কবলিত স্থানে গতকাল শনিবার থেকে রিং বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.