বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ভাঙাচোরা সড়ক। বেশির ভাগ অংশেরই উঠে গেছে কারপেটেং। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে যায়। সড়কের ড্রেনেজ সিস্টেমও অচল। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় সড়কে। তখন দুর্ভোগ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। পুরো ওয়ার্ডের কোথাও নেই সড়ক বাতি। রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে সড়কে। ওয়ার্ডে নেই কোনো খেলার মাঠ বা পার্কও। বিনোদনেরও নেই কোনো সুযোগ বাসিন্দাদের।
এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্র। সাবেক দক্ষিণখান ইউনিয়ন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার। মোল্লারটেক, ইরশাল ও আজমপুর এলাকা নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডটি। ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হলেও এখনো ওয়ার্ডের বাসিন্দারা রয়ে গেছে বেশির ভাগ নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব বেহাল সড়কে চলাচলের মাধ্যম অটোরিকশা। আজমপুর রেলগেটের প্রবেশ মুখেই জটলা এসব বাহনের। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই এলাকার মূল সমস্যা এখন জলাবদ্ধতা। সড়কের এই বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।
ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বেশির ভাগ সড়কই ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। নামেই সিটি করপোরেশন এলাকা। নেই সেই অনুপাতে কোনো সুযোগসুবিধা। মানিক নামে আরেক বাসিন্দা জানান, কিছু কিছু সড়কে রাত হলে ভূতুড়ে অবস্থা তৈরি হয়।
জানা যায়, এখনো ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর সিটি করপোরেশন বাসাবড়িতে হোল্ডিং নম্বরও দেয়নি। যার কারণে ট্যাক্সও নিতে পারছে না সিটি করপোরেশন। এতে যেমন সিটি করপোরশেন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি এই এলাকায় উন্নয়নও হচ্ছে না। এ বিষয়ে মো. বিপ্লব নামে এক বাসিন্দা বলেন, সিটি করপোরেশন টাকাও নিচ্ছে না সেবাও দিচ্ছে না। তা হলে সিটি করপোরেশনের আসলে কাজটা কী?
উন্নয়নের বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডি এম শামীম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৩ হাজার সড়ক বাতির জন্য আবেদন করেছি। ২৫২টি রাস্তার জন্য প্রস্তাব করেছি। কাজের জন্য আমরা বড় কোনো বাজেট পাইনি। যতটুকু কাজ হয়েছে বেশির ভাগই নিজস্ব উদ্যোগে হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে প্রত্যেক কাউন্সিলর এক জন করে সচিব, গার্ড ও অফিস সহায়ক পান। কিন্তু আমাদের সেটিও দেওয়া হয়নি। নিজে টাকা দিয়ে লোক রেখে আমরা মানুষকে এখনো বিনা মূল্যে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এছাড়া এখনো ঐ ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন বাসা বাড়িতে হোল্ডিং নম্বর বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়নি। সিটি করপোরেশনের যে নাগরিক সুবিধা তার বেশির ভাগই এই এলাকায় পৌঁছায়নি। নিজ উদ্যোগে ১২টি রাস্তা সংস্কার করেছি। ইরশাল ও দক্ষিণ মোল্লারটেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করেছি। সেই পানি এখন হাজি ক্যাম্পের কালভার্ট দিয়ে এডি-৮ খাল হয়ে বালু নদীতে চলে যাচ্ছে। যার কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা বহু অংশে কমাতে পেরেছি। নতুন ওয়ার্ডের জন্য যে বড় বাজেট আসছে সেটির কাজ শুরু হলে হয়তো এসব সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.