ভাই-বোনদের সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখল করতে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের নেতা পরিচয়ে মারপিট ও হুমকির অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দেবহাটায় ভাই-বোনদের সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখল করতে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের নেতা পরিচয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মারপিট ও খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলেন এ অভিযোগ করেন, দেবহাটা উপজেলার খাস খামার গ্রামের মৃত আরজাহান আলীর পুত্র আছাবুর রহমান।
এসময় তার বড় ভাই আজহারুল ইসলাম, তিন বোন আরিজা বেগম, আফরোজা বেগম, নাসরিন এবং মা ফরিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমরা ৩ ভাই এবং বোন ৪। আমাদের পিতা ২০২১ সালে মারা যাওয়ার পর পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে যাচ্ছে আমাদের ছোট ভাই আজিবুল বাসার। বিভিন্ন সময়ে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ দিয়ে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে রাখার চেষ্টা করেন। কোন ভাই বা বোন সম্পত্তির ভাগ চাইতে গেলে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয় এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে।
২০২২ সালে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির বন্টন দিয়ে বসাবসি হলে পর সম্পদলোভী আজিবুল বাসার সেখানে আমাদের বড় বোনকে মারপিট করে এবং আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ার উদ্দেশ্যে সুচতুর আজিবুল বাসার আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
উক্ত মামলায় আদালত ১৫ এপ্রিল ২৫ তারিখে একটি অন্তবর্তীকালিন রায় দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত শুনানীঅন্তে আদালতে নিকট প্রতীয়মান হয় যে, নালিশী সম্পত্তিতে বাদী ও বিবাদী উভয়ই শরীক এবং উভয়ের দখল বিদ্যমান। সার্বিক পর্যালোচনা করে নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত মঞ্জুরযোগ্য নয় মর্মে প্রতীয়মান হল।
এরপরও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আজিবুল বাসার নিজের দখলে রাখতে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমাদের পৈত্রিক পুকুরেও আমাদের নামতে দিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, আজিবুল বাসার বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করেছে। আমাদের বোন আফরোজাসহ আমাদের মারপিট করেছে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ভোলপাল্টে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী কর্মজীবীদলের নেতা হয়েছেন।
নেতা হওয়ার পর থেকে পূর্বের ন্যায় আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার অত্যাচারে আমরা আমাদের প্রাপ্য সম্পত্তিতেও যেতে পারছিনা। গত ০২/৬/২৫ তারিখে সকাল ৯টার দিকে আমাকে পুকুরপাড়ে পেয়ে মারপিট করতে থাকে। আর বলতে থাকে, পুকুরে “আমি মাগুর মাছ ছেড়েছি, মাছ ধরেছি, আবারও ধরব। পারলে কিছু করে নিস।” অথচ এই অভিযোগটি উল্টো আমাদের উপর চাপিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকি প্রদর্শন করে। ওই আজিবুল বাসারের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মো. সেলিম হোসেন #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.