ভাইয়ের শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ল এক শিক্ষার্থী , গ্রেপ্তার হলো ভাইয়ের ধর্ষক শ্বশুর

ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বড় ভাইয়ের শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে নবম শ্রেণীর এক মাদরাসা শিক্ষার্থী (১৫)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামে।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাগলা থানা পুলিশ গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আতাউর রহমান লালমনিরহাট জেলার সদর থানাধীন কিছামত হারাটি গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।

তিনি গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা গোয়ালবর গ্রামের জনৈক রুবেলের মুরগীর খামারে চাকরি করেন এবং খামারের পাশেই পরিবার নিয়ে থাকেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোয়ালবর গ্রামের ওই ছাত্রী স্থানীয় এক মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত আতাউর রহমানের মেয়েও একই প্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। পরে আতাউর রহমানের মেয়ের বিয়ে হয় নির্যাতিতার বড় ভাইয়ের সাথে। আত্মীয়তার সুবাদে নিপীড়নের শিকার মেয়েটি আতাউরের বাড়িতে বেড়াতে যেতো।

গত ২৮ মে মেয়েটি সেখানে বেড়াতে গেলে রাত ৯টার দিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আতাউর রহমান জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন এবং হুমকি দেন এ ঘটনা কাউকে জানালে ক্ষতি হবে। পরে মেয়েটি ভয়ে এ কথা কাউকে জানায়নি।

এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন হলে পরিবারের লোকজন দিশাহারা হয়ে পড়েন এবং চাপ প্রয়োগ করে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন।

পরে ডাক্তার দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করে।

মেয়েটির বাবা বিটিসি নিউজকে বলেন, ওই পশুটা আমার মায়ার জীবনডা ধ্বংস কইরা দিছে। আমি এর ফাঁসি চাই।

পাগলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়েজুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, চরিত্রহীন লম্পট আতাউরকে আমরা খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বিটিসি নিউজকে বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় অভিযোগ পাওয়ামাত্র মামলা রেকর্ড করে আসামী গ্রেপ্তার করেছি। আসামীর বাড়ি যেহেতু লালমনিরহাট দেরি হলে পালিয়ে যেত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.