‘ভাইরাস মোক আর কি করিবে মুই তো মরংছেন ভোকোতে’

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‘ভাইরাস মোক আর কি করিবে মুই তো মরংছেন ভোকোতে। এমনিতে ম্যালা দিন ধরি অসুখত পড়ি আছং। বাড়িত  নাই মোর ওষুধ। ম্যালা মানসি আর সরকার নাকি খাবার দেয়ছেন সবায় পায়ছেন কিন্তু মুই পাংছেন না। মোরতো ১ শতকো জমি নাই। তাহলে মুই না পাইলে পাইবে কায়।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নবীনগর মাছুয়াটারী গ্রামের ৬৬ বছরের বৃদ্ধ শ্রী শরৎ দাস।
জানা গেছে, তাঁর নিজ্বস্ব কোনো জমি জমা নেই। মানুষের জমিতে বসবাস করছেন প্রায় ৫০ বছর ধরে। আগে তাঁর স্ত্রী দিনমজুরের কাজ করে ও তিনি সানিয়াজান নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাতেন। তাঁর স্ত্রী মারা গেছে বহুদিন আগে।
প্রায় ৫ বছর ধরে বার্ধক্যের কারণে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। অসুস্থ থাকলেও অভাবের কারণে ঔষধ কিনতে পারছেন না তিনি। এখন তাঁর বড় ছেলে জেলে (মাছ ধরে) খাকিলা দাস ও মেজো ছেলে বালিয়া দাসের দুজনের মাঝে থাকেন তিনি। নদীতে মাছ না থাকায় তাঁর ছেলেদের সংসার তেমন চলে না অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী।
সরেজমিনে আজ রবিবার বিকালে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নবীনগর মাছুয়াটারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বড় ছেলে বালিয়া দাসের বাড়িতে শুয়ে আছেন ওই বৃদ্ধ। তিনি অসুস্থের কারণে ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না।
এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ম্যালা দিন ধরি বিছানাত পড়ি আছুং ওষুধ কিনারো টাকা নাই। কয়েক বছর ধরি নেম্বার আর চেয়ারম্যানের পাছোত বেড়ানুং সিলিপ আর ভাতা কার্ডের জন্যে কিন্তু ওমা মোক কোনো কিছু না  দিয়া খালি ঘুরাইছে। সংসারোত অভাবের কারণে চিন্তায় মোর মাথা ঘুরে। এ্যালা মুই কি খাইম। ভাইরাস মোক আর কি করিবে মুই তো মরংছেন ভোকোতে।
এ বিষয়ে বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান বাবলু বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তাঁর নাম লিখে নিয়ে এসেছি কাল পরশুর মধ্যে তিনি ত্রাণের খাদ্য পাবেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.