১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও চার ড্রয়ে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরেই আছে রেয়াল। সমান ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। নিজেদের পরের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ জিতলে তিনে নেমে যেতে হবে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের শুরুতে যখন মনে হচ্ছিল নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে রেয়াল, সেই সময়ে এগিয়ে যায় ভাইয়েকানো! চতুর্থ মিনিটে দূরের পোস্টে হোর্হে দে ফ্রুতোসের নিখুঁত ক্রসে অরক্ষিত লোপেসের হেড জড়ায় জালে। কিছুই করার ছিল রেয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার।
একাদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন দে ফ্রুতোস। পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়েও অরক্ষিত স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না রেয়াল। উল্টো উজ্জীবিত ফুটবলে ইউরোপের সফলতম দলটির রক্ষণের প্রবল পরীক্ষা নিচ্ছিল ভাইয়েকানো।
প্রতি আক্রমণ থেকে ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় বাড়িয়েই ফেলেছিলেন পাথি সিস। দে ফ্রুতোসের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরাল শট নেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার। তবে একটুর জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় বল।
পরের মিনিটে সমতায় ফেরানোর খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল রেয়াল। লুকাস ভাসকেসের নিচু ক্রসে আর্দা গিলেরের পা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে। একটু এদিক সেদিক হলে বল যেতে পারত জালে।
৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুমিন। দূরের পোস্টে পালাসনের দারুণ কর্নারে জোরাল আড়াআড়ি হেডে জাল খুঁজে নেন ঘানার এই ডিফেন্ডার।
লিগে টানা টানা ছয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। সমতার স্বস্তিতে বিরতিতে গেল রেয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ভাইয়েকানোকে প্রবলভাবে চেপে ধরে রেয়াল। ৫২তম মিনিটে জালে বল পাঠান গিলের। তবে তিনি নিজেই অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
চার মিনিট পর এগিয়ে যায় রেয়াল। ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে জোরাল শট নেন রদ্রিগো। ভাইয়েকানোর এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে একটু দিক পাল্টে জড়ায় জালে। সেপ্টেম্বরের পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এটাই দলের হয়ে প্রথম গোল।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.