ভাংরিতে জিবিকা কালীগঞ্জের বৈদ্যনাথের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের বেতগাড়ী এলাকার বৈদ্যনাথের বরই ও তেঁতুলের আচারের বিনিময়ে পুরাতন,পরিত্যক্ত ও ভাঙ্গা প্লাস্টিক,সামগ্রী,টিন,লোহা,বই,খাতা,কাগজপত্র,বোতল,স্যান্ডেল ইত্যাদি সংগ্রহ ও বিক্রি করে সংসার চালান বৃদ্ধ বৈদ্যনাথ।

প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ভাংরী ব্যবসায় নিয়োজিত বৈদ্যনাথের লালমনিরহাটের চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের বেতগাড়ী এলাকায় বাড়ি।একসময় অন্যের বাড়ীতে কাজ করা বৈদ্যনাথ।

কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়ায় ভাংরী দোকান থেকে ৩’শ টাকায় কেনা ভাঙ্গা একটি বাই সাইকেলে ব্যাগ,বস্তা আর আঁচার সহ পায়ে হেঁটে ছুটে চলেন একগ্রাম থেকে অন্যগ্রামে। টিনের কৌটায় তৈরী একটি বাদ্যযন্ত্রে জানান দেন তাঁর আগমনের বার্তা।

পুরনো পরিত্যক্ত বিভিন্ন সামগ্রী হাতে নিয়ে বৈদ্যেনাথের কাছে ছুটে আসেন নারী ও শিশুরা।বৈদ্যনাথ তাদের সন্তুষ্ট করেন নিজ বাড়ীর তৈরি আঁচার দিয়ে।কোনো কোনো দিন ২০ থেকে ৩০ টাকা নগদও পান তিনি।

আবার সারাদিনের সংগৃহীত সামগ্রী সন্ধ্যাবেলা ভাংরীদোকানে বেচে ১৫০থেকে ২০০টাকা হাতে আসে বৈদ্যনাথের।

এভাবেই চলেবৈদ্যনাথের স্বামী স্ত্রীর সংসার যুদ্ধ।মেয়ে দুটোর বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে সন্তান নেই আছে ভিটের একখন্ড জমি আর কোনোরকম একটি থাকার ঘর।

বয়স ৬৮ হলেও আইডিতে ৫৬ বছর,জুটেনি বৈদ্যনাথের ভাগে বয়স্ক ভাতা বা আর কোনো সুবিধা বলে জানান বৈদ্যনাথ।সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর উপকারভোগীর খাতায় তার নামটা চলে আসুক এ প্রতিবেদকের নিকট এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন ভাংরী ব্যবসায়ী বৈদ্যনাথ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট  প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.