ভাঁড়ারায় সুলতান মাহমুদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় সাংবাদিকবৃন্দ লাঞ্ছিত

পাবনা প্রতিনিধি: গত শনিবার (১১ ডিসেম্বর) পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে আহত চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলমের মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকার কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তাদের সন্ত্রাসী তান্ডবে অনেকে এলাকা ছাড়া হয়েছেন এবং মামলার কারণে ভাঁড়ারার কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য রয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমকর্মীরা ভাংচুর ও লুটপাটের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সুলতান মাহমুদের সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকার কর্মী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজকে তুলে নিয়ে যায় এবং গণমাধ্যমকর্মীদের লাঞ্ছিত করে।
এসময় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, আমরা ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পূর্ব জামুয়া, শেখ পাড়ায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সুলতান মাহমুদের সন্ত্রাসী বাহিনী অতির্কিত হামলা করে এবং সাংবাদিকদের তথ্য প্রদানকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফিরোজকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের দীর্ঘক্ষণ পথরোধ করে রাখে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা আক্রমণতœকভাবে সাংবাদিকদের অশ্লীলভাষায় বকাবাদ্য এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পাবনার সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খোকন, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাযহার, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাবনা জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সেলিম মোর্শেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের খান প্রিন্স, পথ সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক মীর ফজলুল করিম বাচ্চু, পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক শিশির ইসলাম প্রমূখ।
তারা এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পাবনা প্রতিনিধি আর কে আকাশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.