ভয়াবহ বন্যার কবলে মিয়ানমার, বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে মিয়ানমার। এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানিয়ছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, সংঘাতে বিধ্বস্ত মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোসহ বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা পেতে বিদেশি দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।’
জান্তা সরকার শুক্রবার বলেছে, শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় দুই লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে সংঘাতে আক্রান্ত দেশটিতে বন্যার কারণে দুর্দশা আরও তীব্র হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় দেশের কিছু এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের একটি স্বর্ণখনি এলাকায় ভূমিধসে বেশ কিছু লোকের চাপা পড়ার খবর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাই এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমটি বলছে, বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে অন্তত ১৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
শনিবার টাংগুর একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজকে বলেন, সিতাং নদীর পূর্ব তীরে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছে। উদ্ধার করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত নৌকা নেই বলে তিনি জানান।
গত জুলাই মাসেও উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ইরাবতী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে তীরবর্তী শহর ও গ্রামগুলোতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল হাজার হাজার মানুষ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.