ভবানীগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বরাদ্দকৃত ওষুধে সেবা মিলছে না


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপজেলা সদর হিসেবে অতিরিক্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। এলাকা ভিত্তিক ভবানীগঞ্জ পৌরসভার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবার কথা থাকলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়তই বেশী বেশী রোগী জমা হচ্ছে। ফলে চিকিৎসকদের বাইরের রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়।
মানবিক ভাবে অতিরিক্ত রোগী দেখতে গিয়ে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা বিড়াম্বনায় পড়ছেন। এতে করে পৌরবাসী পরিমিত ওষুধে স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। বাড়তি রোগীকে সামাল দিতে উপজেলা সদর হিসেবে এলাকাবাসী অন্য উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ে বেশী ওষুধ সরবাহের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বাগমারা উপজেলায় ৬টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মোহনগঞ্জ, সাদোপাড়া, গোয়ালকান্দি, তাহেরপুর, হাটমাধনগর ও ভবানীগঞ্জ। সরকারী ভাবে প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান ওষুধসহ যন্ত্রপাতি বরাদ্দ হয়। এদিক থেকে অন্য উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র অপেক্ষা ভবানীগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র উপজেলা সদর হবার কারণে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
উপজেলায় প্রতি দিন দুর দুরান্ত থেকে লোকসমাগম ঘটে। এসব লোকজন বাইরে থেকে এসে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার ভিড় করে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ হতে দুরে হওয়ায় অনেকেই সেখানে না গিয়ে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়। অনেকে মনে করে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জই বড় বড় ডাক্তার চিকিৎসা দেয়। এমনটি ভেবে পাশ্ববর্তি বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সদর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগী ভীড় জমায়।
এতে করে অতিরিক্ত রোগীর চাপে বরাদ্দকৃত ওষুধ পরিমিতি রোগীদের সাড়ে ১১টা-বারটার মধ্যে ওষুধ শেষ হয়ে যায়। বাড়তি রোগীর কারণে ওষুধ সংকটে প্রায় উপ-কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে এসে সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছেন এলাকার রোগি ও তার স্বজনেরা।
আজ বুধবার সকাল ১২টার দিকে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে কর্মরত ডাক্তার ও রোগিদের সূত্রে জানা গেছে তাদের দূর্ভোগের কথা। তারা জানান, প্রতিদিন একশ’ থেকে দেড়শ’ রোগীর সমাগম ঘটে। বিরাট সংখ্যার রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধপত্র দিতে চরম বেকায়দায় সইতে হয় চিকিৎসার সাথে জড়িতদের।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত ডাক্তার সুমা আকতার বিটিসি নিউজকে জানান, প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়তি হবার কারণে ১২টার মধ্যে নির্দিষ্ট বাজেটের ওষুধ শেষ হয়। বাড়তি রোগীদের নিয়মিত ব্যবস্থাপত্র ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মানবিক কারণে পৌরসভার বাইরের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন কাজে লোকজন এসে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে বেশী ভাগ প্রেসারের রোগী। তাদের ওষুধপত্রসহ প্রতিনিয়তই সেবা করতে হিমসিম খেতে হয়। একই ভাবে ওই কেন্দ্রের সদস্য সচিব সেকমো সাথী খাতুন বলেন, পৌরসভা বাদে কাচারী কোয়ালীপাড়া, বড়বিহানালী, মাড়িয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে ভিড় করে। এতে করে বাড়তি রোগীর চাপ অনেক হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী বিটিসি নিউজকেবলেন, সরকারী ভাবে সকল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য সমান পরিমান ওষুধপত্র সররাহ করা হয়। উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বেশী রোগী হলেও সেখানকার জন্য বেশী ওষুধ সরবাহ করার কোন নিয়ম নেই। তবে জরুরী বিভাগের রোগীদের জন্য সামান্য কিছু ওষুধ আমরা দিয়ে থাকি যা অতিব কম বলে জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.