বড়পুকুরিয়া’র ২৩০ কোটি টাকার কয়লা আত্মসাৎ, সাবেক ৭ এমডিসহ কারাগারে-২২

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাৎ এর অভিযোগে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের সাবেক ৭ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। এই কয়লার আনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকা।
আজ বুধবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম তদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই ২২ জন কর্মকর্তা উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। দুদকের করা মামলার তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানীর সাবেক ৭ জন এমডি হলেন: (১) মাহবুবুর রহমান, (২) আবদুল আজিজ খান, (৩) প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, (৪) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, (৫) আমিনুজ্জামান, (৬) প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব (৭) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে ম্যানেজার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামী করে পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

পার্বতীপুর মডেল থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা উধাও হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকা। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদককে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম এই তদন্ত শেষে চার্জশিট তৈরী করেন। এতে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনকে আসামী করা হয়। এছাড়া তদন্তে নতুন করে ৭ জন সাবেক এমডিসহ ৯ জনের নাম বেরিয়ে আসে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দিনাজপুর প্রতিনিধি মোঃ ইয়ামিন সরকার। #

 

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.