পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর আটটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত ২০টি গার্ডার ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। নির্মাণে ধীরগতির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় জনসাধারণসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জেলার গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে এসব ব্রিজ নির্মাণ করে। নির্মাণ পরিকল্পনা অনুযায়ী অধিকাংশ ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ২০২৫ সালেও শেষ হয়নি।
এই ২০টি ব্রিজের মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৬টি, বাউফলে ৫টি ও দশমিনায় ৯টি। অ্যাপ্রোচ সড়কবিহীন এসব ব্রিজের অন্যতম হলো বাউফল উপজেলার বগী বাজার খালের ওপর নির্মিত ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডার ব্রিজ। প্রায় ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটির নির্মাণ শেষ হয় ২০২১ সালে। কিন্তু চার বছর পার হলেও ৩ হাজার ৪০০ মিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন এবং ব্রিজের পাশের দোকানদার ফিরোজ আলম বিটিসি নিউজকে জানান, চার বছর আগে ব্রিজের কাজ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার চলে গেছে। দুই পাশের ব্লক পেতে মানুষ চলাচল করছে। একটু বৃষ্টি হলেই পিছলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি করলেও কোনো ফল হয়নি।
এদিকে দশমিনা উপজেলার জনতা বাজার-কালারানী বাজার খালের ওপর নির্মিত ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজ ও ১.৩০০ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়কের প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালে। কিন্তু অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ।
এই প্রকল্পের ঠিকাদার মো. জামাল হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, কিছু অতিরিক্ত কাজের কারণে কাজ ধীরগতিতে হয়েছে। সমস্যা সমাধান হয়েছে, আশা করছি সামনে জুনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর বিটিসি নিউজকে জানান, ২০টি গার্ডার ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিছু ব্রিজের নকশায় ত্রুটি রয়েছে, তা পুনরায় ডিজাইন করতে হচ্ছে। কিছু ঠিকাদার চুক্তি শেষে গা ঢাকা দিয়েছে। আবার কোথাও জমি সংক্রান্ত জটিলতা আছে। আশা করি, এই জুনের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান করে অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পটুয়াখালী প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম নজরুল। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.