ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনজিও গুলোর কিস্তি আদায় চলছেই

বিশেষ প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবে না- সরকারের এমন নির্দেশনা ছিল। কিন্তু অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার পর কিস্তি আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করে এনজিওগুলোও।
এ অবস্থায় চলতি জুন মাসেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিস্তি আদায় করতে পারবে না ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিওগুলো। ঋণের কিস্তি আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন  জেলা প্রশাসক (ডিসি) হায়াত উর দৌলা খান।
গত রোববার (৩১ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলেছে অফিস-আদালত। ঘরবন্দি লোকজনও নেমেছেন কাজে। এ পরিস্থিতিতে এনজিওগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে  কিস্তি আদায়ের। কোথাও কোথাও কিস্তি আদায়ে ঋণগ্রহীতাদের ব্যাপক চাপ দেয়ারও অভিযোগ আসছে।
এরই প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (০২ জুন) বিকালে মুুুুঠোফোনে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন যে, এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো ঋণগ্রহীতাকে ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় করা যাবে না। এ নিয়ে রেগুলেটরি অথরিটির নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায়ের প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কেউ স্বেচ্ছায় কিস্তি দিতে চাইলে সেক্ষেত্রে আপত্তি নেই।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির মনিটরিং সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এক কর্মকর্তা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কোথাও জোর করে ঋণ আদায় করা হলে এনজিওর ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। প্রয়োজনে সেটাই করব আমরা।
তিনি বলেন, জেলা থেকে দু’একটি অভিযোগ পেয়েছি; জোর করে ঋণ আদায় করা হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা বন্ধ করেছি। বার বার সতর্ক করার পরও ঋণ আদায় করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.