ব্যাপারী-আড়ৎদার ও আম ফাউন্ডেশনের কারসাজী : ভোলাহাটে আম বিক্রি ৫৪-৫৬ কেজিতে মন \ আমচাষীদের ক্ষোভ


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে আম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ কেজিতে মন। ক্ষেত্র বিশেষে এটা গড়াচ্ছে ৫৮-৬০ কেজিতে। অনেকটায় জিম্মি হয়ে পড়েছে আম ব্যবসায়ী ও চাষীরা। এমনিতেই করোনা প্রকোপে আমের দাম নেই, তারপরও জিম্মি চক্রের রোশানলে পড়ে নিরুপায় হয়ে ফড়িয়া, ব্যাপারী ও আড়ৎদাদের কাছে ৫৪-৫৬ কেজিতে মন হিসেবে আম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র আম বাজার আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটে আম বিক্রি করতে আসা আমচাষী ও আম ব্যবসায়ীদের মাঝে। এমনিতেই ভালো দাম নেই তার উপর আড়ৎদার এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আম ব্যাপারীদের যোগসাজশে চুষে খাওয়ার অপচেষ্টা।
এভাবে আম কিনে লাভবান হচ্ছে ব্যাপারীরা। নিজ এলাকার আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে অজ্ঞাত কারনে ব্যাপারীদের সুবিধা দিতে ব্যস্ত আড়ৎদার ও আম ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।
এব্যাপারে আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা ৫২ কেজিতে মণ বিক্রি করতে রেট করে দিয়েছি। এখানে আমচাষী কিংবা আম ব্যবসায়ী যদি এটার ব্যত্যয় ঘটায় তবে আম ফাউন্ডেশনের করার কিছুই নেই।
অপরদিকে, একাধিক আড়ৎদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাপারীরা আম ক্রয় করে তারাই ভালো জানে কত কেজিতে মণ। কোন কোন আড়ৎদার বলেন ব্যাপারীদের খুশি করতে অনেকসময় এমন কাজ করতে হয়।
সর্বোপরি আমচাষী এবং আম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ করে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের আড়ৎদার এবং বেপারীদের কাছে জিম্মি হয়েই আম বিক্রি করতে হচ্ছে। যেখানে নেই আমচাষীদের শেষ আশ্রয়স্থল আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের কোন প্রকার নজরদারি। এনিয়ে আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
ভূক্তভোগী আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন এবং আম ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার এগিয়ে আসবেন। অন্যথায়, এভাবে জিম্মিদশা থেকে আম বিক্রি বন্ধ করে আমচাষী এবং আম ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেয়া হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.