ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি!, বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ


নাটোর প্রতিনিধি: বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আ-লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। অনুষ্ঠান বর্জনের পর কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পৌর সদরে অবস্থিত বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমীনে গিয়ে দেখাযায়, বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত অতিথি মঞ্চ ও সামিয়ানা অপসারণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষুব্ধ ভাবে কলেজ ত্যাগ করতে দেখাযায়। অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্র্মীরা বিক্ষোভ কার্যক্রম শেষ করে অবস্থান নেই কলেজের মাঠে।
জানাযায়, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের এইচএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো।
অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড.মোঃ একরামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির। বিশেষ অতিথি হিসাবে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমানের নামও ছিলো ব্যানারে।
সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস এমপি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। গাড়ি থেকে নামার পর মঞ্চের ব্যানারে তাকিয়ে দেখেন ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। সেই মুহুর্তেই এমপি কলেজ ত্যাগ করে ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যান। এমপির যাওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব জানান, জামাআত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক রয়েছে। তাদের প্ররোচণায় আজকে বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছে এবং আমরা বিক্ষোভ করেছি।
অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড.মো.একরামুল হক জানান, অনুষ্ঠানে কিছু ত্রুটি বিচ্চুতি ছিলো। এ কারণে আজকের মত অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ভূল ছিলো ইতিমধ্যেই সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। নতুন করে ব্যানারও তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি দুএকদিনের মধ্যে পুনরায় দিন তারিখ ঠিক করে অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু হবে। আর জামাআয়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিষয়ের অভিযোগ মিথ্যা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফনে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে বিদায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রন জানিয়েছিলো। বরাবরই আমি প্রতিটি পোগ্রামে সময়ের আগে উপস্থিত হই। কলেজের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিলো ১০টায়। আমি সাড়ে ৯টায় কলেজে উপস্থিত হয়েছিলাম।
মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখি ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। তৎখনাত আমি কলেজ ত্যাগ করে চলে যাই। যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে না সেখানে আমার থাকার প্রশ্নই আসেনা। তাই আমি অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে এসেছি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.