ব্যাংককে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও পাওয়া যাচ্ছে জীবনের স্পন্দন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ডেও পড়েছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী ব্যাংকক। শহরজুড়ে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলীয় শহর ও গ্রামগুলোতে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ব্যাংককের বাণিজ্যিক এলাকা চাতুচাকে ঘটে, যেখানে একটি নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসে পড়ে। ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভবনটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, আর সেই মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
থাইল্যান্ডের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাতুচাকের ধসে পড়া ভবনটির ধ্বংসস্তূপে অন্তত ৪৭ জন কর্মী আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জনের জীবিত থাকার সংকেত পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকারীরা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপের ৫ থেকে ১০ মিটার গভীরে জীবিতদের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ভবনটি প্যানকেকের মতো চেপ্টা হয়ে ধসে পড়েছে, এবং এখনও কিছু অংশ ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।’
বর্তমানে উদ্ধারকর্মীরা ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ রেখেছেন, যাতে ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ব্যক্তিরা আরও বিপদে না পড়ে। এর আগে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করেছিল, ভবনটির নিচে শতাধিক মানুষ আটকা থাকতে পারে।
ভূমিকম্পের সবচেয়ে ভয়াবহ ধাক্কা লেগেছে মিয়ানমারে, যেখানে শুধু একটি শহরেই ৬৯৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে, আর দেশজুড়ে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
ব্যাংককেও ভূমিকম্পের প্রভাব সুস্পষ্ট, এবং উদ্ধারকাজ এখনও জোরেশোরে চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলায় সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.