বৌদির নারী নির্যাতন মামলায় তানোরে পুলিশের হাতে বিভিন্ন অপকর্মে অভিযুক্ত সেই সুফল চন্দ্র গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মুসলিম পরিবারের মেয়েকে ব্লাকমেইল করে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিভিন্ন নাকট সাজিয়ে অবশেষে হিন্দু বাবিয়ে বিয়ে করেন সেই সমালোচিত বিভিন্ন অপকর্মে অভিযুক্ত সুফল চন্দ্র দাস। এবারে জোর করে নিজের বিধবা বৌদির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টায় সংখ্যালঘু ওই অসহায় বিধবা বৌদির দায়ের কৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করেন তানোর থানা পুলিশ।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির সুত্রপাত ঘটে, চলতি বছরের গত মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকালের দিকে তানোর পৌর এলাকার হিন্দু পাড়া পালপাড়া গ্রামে। এতে করে আবারও এই নারী লোভী সুফলের এমন জঘন্য কর্মকান্ডে এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। বর্তমানে তানোর উপজেলা সদরে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটা জায়গার মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মুখে মুখে চলছে সুফল চন্দ্রের লিলা-কৃর্তীর গল্প।
থানা পুলিশের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তানোর পৌর এলাকার হিন্দু পাড়া পালপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তিনাত চন্দ্র দাসের বড় ছেলে মৃতঃ রাজকুমারের বিধবা স্ত্রী শ্রীমতি লক্ষী রানীকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো দেবর সুফল চন্দ্র দাস। কিন্তু বিধবা বৌদি তাকে কোন পাত্তা না দিয়ে একাধিকবার নিষেধ করেন। এমনকি দেবরের বিরুদ্ধে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পায়ন নি মৃতঃ রাজকুমারের এই অসহায় বিধবা স্ত্রী।
এবারে জোর করে তিনাতের এই লম্পট চরিত্রের ছোট ছেলে শ্রী সুফল চন্দ্র দাস আপন বিধবা বৌদির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় তার বিধবা বৌদি চিৎকার করলে আশপাশের প্রতিবেশীরা তার চিৎকারে ছুটে আসে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিধবা বৌদিকে ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় দেবর সুফল চন্দ্র দাস।
এঘটনায় মৃতঃ রাজকুমারের স্ত্রী শ্রীমতী রানী বাদী হয়ে তানোর থানায় নারী নির্যাতন আইনে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার মামলার গুরুত্বটি বুঝতে পেরে আমলে নেয় পুলিশ। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল রবিবার (০৪ এপ্রিল) ২০২১ ইং সুফলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এ বিষয়ে তানোর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান রাকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই  বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সুফল দীর্ঘদিন ধরে তার নিজের মৃতঃ বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে উক্তাক্ত করে আসছিলো। এর আগেও একবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মহোদয় সুফলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১বছরের সাজা প্রদান করেন। অতঃপর জেল থেকে বেরিয়ে এসেই সে এক মুসলিম মহিলার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তাকে হিন্দু বানিয়ে বিয়ে করে।
তিনি জানান, এরপরও সুফল চন্দ্র দাস তার বিধবা বৌদির ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে। এতে তার বৌদি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরে আমরা রাজশাহী জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) ও অতিঃ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মাহমুদুল হাসান, জনাব মোঃ মতিউর রহমান সিদ্দিকি মহোদয়ের সঠিক নির্দেশনায় মামলাটি প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে গুরুত্বের সাথে আমলে নেওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, এরপরে নারী নির্যাতন আইনে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করেই উপরোক্ত ঘটনায় আসামী, শ্রী সুফল, চন্দ্র দাস (৩১), পিতা- ত্রিনাথ চন্দ্র দাস, সাং- তানোর, জেলা- রাজশাহীকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার এসআই মোঃ আনিছুর রহমান ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সদের পাঠিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুফল চন্দ্রকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার (০৫ এপ্রিল) পুলিশ হেফাজতে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.