বেয়াই হওয়া হলো না, উল্টো জরিমানা গুণে পার পেলেন তারা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নুরমিন আক্তারের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রামমাণ আদালত। এ সময় বাল্য বিয়ের দায়ে বরের বাবাকে ৪০ হাজার ও কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আশেকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.খায়রুল ইসলাম।
জানা যায়, কনে নুরমিন পৌর এলাকার জোবায়দা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। বর শাহ্ আলম একই বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতেন। তাদের উভয়ের বাড়ি টাঙ্গাইল পৌরসভার আশেকপুর গ্রামে।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.খায়রুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নুরমিন আক্তারের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। সেখানে গিয়ে বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেই। এ অভিযোগে ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী কনের বাবা মো. নুরে আলমকে ১০ হাজার এবং বরের বাবা আব্দুর আজিজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে মেয়ের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকতা শামীমা আক্তার শাম্মী, ১৫  নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহেল ওয়ারেছ হুমায়ুন ও জোবায়দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো, সেলিম রেজা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.