বেলকুচির যমুনা পাড়ে নির্মাণ হচ্ছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র


বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালীন সময়ে বিপদাপন্ন মানুষ ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং প্রাণী সম্পদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রায় ২ কোটি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র।

আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডি এস এ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ করছেন জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স পিয়াস কনষ্ট্রাকশন সিরাজগঞ্জ।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বন্যা প্লাবিত ও নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটির আওতায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

২০১৯-২০২০ অর্থ বছর থেকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটির কাজ গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মন্ডন ভবনটি নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন এবং শেষ করতে ২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ সময় লাগবে।

ত্রিথতল বিশিষ্ট ভবনের প্রথম তলার ডান পাশে প্রতিবন্দীদের জন্য বিশেষ ভাবে বাথরুম সহ থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বামপাশে প্রথম তলায় গবাদিপশু,হাঁস-মুরগি, মালামাল রাখার ব্যবস্থার পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় দুর্যোগের সময় নারী-পুরুষ-শিশু আশ্রয় নিতে পারবে।

আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৪০০ জন নারী-পুরুষ-শিশু ও ১০০টি গবাদিপশু ধারণ ক্ষমতার এ ভবনে খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ অন্যান্য কাজে ব্যবহারে জন্য অগভীর নলকূপ,বাথরুম এবং পানি উঠানোর মটর বসানো হবে। রাতের বেলা সৌর বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হবে ভবনটি।

দুর্যোগবিহীন সময়ে এ ভবনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী করা এবং প্রকল্প এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নত পরিবেশে শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উপজেলা প্রকল্পবাস্তাবায় কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, উপজেলায় এই প্রথম এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দিলে অনেক পরিবার এখানে আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা এখানে পড়া-লেখার সুযোগ পাবে। ‘আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে যথাযথভাবে তদারকি করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

ঠিকাদারের কাজের ব্যাপারে কোন ধরনের গাফিলতি বা অনিয়ম হলে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের জীবন,প্রাণী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী এবং প্রকল্প এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নত পরিবেশে শিক্ষালাভের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.