বেলকুচিতে সব্জি চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ জেলায় বেলকুচিতে মৌসুমী সবজি চাষ করে এখন আর্থিক ভাবে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী হয়েছে বেলকুচি উপজেলার চাঞ্চলের কৃষক।
স্থানীয় হাট বাজারে সবজির চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন বাজারে সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে তাঁদের উৎপাদিত সবজি। বেলকুচির চরাঞ্চলের কৃষক মৌসুমি সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী।
সরেজমিনে গিয়ে ঘরে দেখা যায়, বেলকুচি উপজেলার সগুনা গ্রামে নজর কাড়া-ঢেউ তোলা,মোটা সুতা ও বাঁশ দিয়ে  তৈরি মাঁচা। সেই মাঁচার নিচে ঝুলে আছে শষা,লাউ, করলা,সিম,গাছে ঝুলছে বেগুল,কৃষকের অতি যত্নে উৎপাদিত সবজির সমারোহ,তার সবজি বাগান দেখতে যে কেউ একটু হলেও সবজি ক্ষেতের পাশে দাঁড়াবে।
স্থানীয় কৃষক মনিরুল ইসলাম জানায়, পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে গিয়ে সেখানে দেখতে পাই,প্রত্যেক বাড়ির পাশের জমিগুোলতে বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ করছে।
বিষয়টি দেখে আমার নিকট খুব ভালো লাগে। এ ব্যাপারে আমি কয়েকজন সবজি চাষীর সঙ্গে কথাও বলি। তারা তাদের সবজি স্থানীয় পাইকারদের নিকট বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। সেই থেকে সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ি।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে শসা, লাউ,করলা ও জালি কুমড়া আবাদ করি। সে বছর সব খরচ বাদ দিয়ে আমার আয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তাই এবছর ৪ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছি। এবার ফলনও হয়েছে বাম্পার,দামও পাচ্ছি ভালো।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান,বেলকুচি উপজেলার কৃষকদের স্বাবলম্বী করার জন্য  এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন, বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে, কৃষকদের স্বাবলম্বী করার জন্য সুমতি করনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। চলতি বছরে ফলনও হয়েছে ভালো, দামও পাচ্ছে ভালো,আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরে সবজির লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যাবে বলে তিনি জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.