বেলকুচিতে শিশু হত্যা মামলায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড


বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন (৬) হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড, দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. এরফান উল্লাহ তাদের এ রায় প্রদান করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের এপিপি ওয়াছ করনী লকেট এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিশু ইমন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মঙ্গলবার তাদের এই রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীরা হলো, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ওসমান (২৫), কোরবান আলীর ছেলে সোহেল (২৫) , আব্দুস সোবহানের ছেলে কাওছার (২৪) ও তামাই গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে আল-আমিন (৩৫) ও হিরন (৩০)। এদিকে আদালত এই মামলায় মোঃ আলহাজ ও গোলামকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
আদালতের এপিপি ওয়াছ করনী লকেট মামলার বিবরণ থেকে বলেন, শিশু ইমনের বাবা চাঁন মিয়া মালয়েশিয়ায় থাকেন। চাঁন মিয়ার স্ত্রী মমতা খাতুন দুই সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়ি চর মকিমপুর গ্রামে বসবাস করে। মমতা খাতুন তার চাচা আলহাজ্ব আলীর নিকট থেকে জমি কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা বায়না দেন। পরবর্তীতে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে চাচা আলহাজ্ব আলী টাকা ফেরত দেয় না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। টাকা চাওয়ায় আলহাজ্ব আলী ও তার লোকজন মমতা খাতুনের ছেলের ক্ষতি করবে বলে হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিকেল থেকে মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন নিখোঁজ হয়। এঘটনায় বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়। অনেক খোঁজা খুঁজির পর শিশু ইমনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়না। পরবর্তীতে ২২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে বাড়ির পাশ্ববর্তী হাফেজ হাজীর একটি পরিত্যাক্ত প্রস্রাব খানার ভেতরে ইমনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশু ইমনের চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৬  নভেম্বর বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তিতর্ক শেষে আজ মঙ্গরবার ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন দেন আদালত।
প্রসিকিউশন পক্ষে বিজ্ঞ অতিরিক্ত পি.পি এডভোকেট মোঃ ওয়াছ করনী লকেট ও বিজ্ঞ এ.পি.পি মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামী পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ শওকাত হোসেন ও মোঃ ফরিদ আলম (আলমগীর) মামলাটি পরিচালনা করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.