বেলকুচিতে পুলিশের বিমাতাসূলভ আচরনে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা!

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে বিনা অপরাধে রুবেল নামের যুবলীগ কর্মীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার তোপের মুখে পড়ে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে বেলকুচি পৌর এলাকার চালা পোস্ট অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চালা আদালত পাড়া পোষ্ট অফিসের সম্মুখে আরমানের ফ্লেক্সি লোডের দোকানে চরচালা গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ প্রামানিকের ছেলে রুবেলসহ কয়েকজন যুবক ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এমন সময় পৌর এলাকার গাড়ামাসী গ্রামের কাউন্সিলর জুলফিকার রহমান শিপনও তার সহযোগীরা আরমানের দোকানের ভিতরে গিয়ে রুবেলকে মারপিট করে।
পরে শিপনের এক সহযোগী মুঠোফোনে কথা বলার পরপরই থানার কয়েকজন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিনা কারনে রুবেলকে কোমরের মধ্যে হাতদিয়ে ধরে নিয়ে চালা বাজার এলাকায় আসার পর শতাধিক স্থানীয় জনতা পুলিশের সাথে বাগ তর্কের এক পর্যায়ে রুবেলকে ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন পুলিশ।
স্থানীয়রা আরও জানান, পত্রিকা এজেন্ট পুত্র নাবিন হামলা মামলার সাক্ষী রুবেল। ইতিপূর্বে সেই মামলায় সাবেক ওসি অপসারণ হয়েছে। সেই রেসে পুলিশ রুবেলকে নিয়ে যেতে পারে বলে তাদের ধারণা। পরে বিক্ষিপ্ত জনতা চালা বাজার এলাকায় বিমাতাসূলভ অনৈতিক কাজের প্রতিবাদে মিছিল করে।
বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদূল রেজা জানান, আমি পৌরসভা থেকে বাসায় ফিরছিলাম। চালা বাজার এলাকায় জনসমাগম দেখতে পেয়ে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি কোন কারণ ছাড়াই  রুবেলকে চোরের মতো নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে স্থানীয়রা রুবেলের অপরাধ জানতে চায়। পুলিশ সঠিক জবাব না দিতে পারায় বিক্ষিপ্ত জনতার তোপের মুখে রুবেলকে রেখে যায়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে একটি নিরাপরাধ ব্যক্তিকে কারণ ছাড়াই নিয়ে যাওয়া, এ কেমন আইন আমার জানা নেই।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রুবেলের সাথে বড়ধূল ইউপি আ.লীগের সভাপতির সাথে ঝামেলা হয়েছিল। মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিল, সেই বিষয়টি জানার জন্য অফিসার পাঠিয়েছিলাম রুবেলকে থানায় ডেকে আনার জন্য। এ বিষয়টি যে এমন হবে তা জানা ছিল না। পরে এ ব্যাপারে দু’পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম এ মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.