বেলকুচিতে ত্রিভূজ পরকিয়া প্রেমের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা


বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দােকানের কর্মচারি মােঃ শাহ আলম (৩৫) কে ত্রিভূজ পরকিয়া প্রেমের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুমের উদ্দেশ্য দূর্গম যমুনা নদীর চরের ছােনের ভিতর ফেলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৫ বছর পর ৪ জুলাই বুধবার সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ এ চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উন্মােচন করেছে।
নিহত বেকারি দােকান কর্মচারি শাহ আলম বেলকুচি উপজলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মােল্লার ছেলে।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সিআইডি সন্মেলন কক্ষে বিশেষ পুলিশ সুপার কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,একই গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা কাকলি বেগম (৩৫) (ছদ্দ নাম) সাথে শাহ আলমসহ ৩ জনের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি শাহ আলম জানতে পেরে কাকলিকে গালাগালি করে ও ওই দু‘জনকে তার কাছে আসতে বারণ করে। এতে কাকলি ও ওই দুই পরকিয়া প্রেমিক ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
এরপর তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযােগ খুঁজতে থাকে। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারী রাতে শাহ আলম কাকলির সাথে দেখা করতে এসে তার বিছানায় ঘুমিয়ে পরে। এ সুযােগে কাকলি ও তার দুই পরকিয়া প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাস রােধ করে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্য দূর্গম যমুনা নদীর চরের ছােনের ভিতর ফেলে দেয়।
এ ঘটনার ২ দিন পর ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারী বেলকুচি থানা পুলিশ যমুনার চরের ছােনের ভিতর থেকে শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মােছাঃ শিরিনা বেগম বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৫, তারিখ-২৭/০১/২০১৭ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪।
বেলকুচি থানা পুলিশ দীর্ঘ চেষ্টার পর এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়ে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশরে কাছে মামলাটি হস্তান্তর করে। এরপর সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার কামাল হােসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাঃ শাখাওয়াত হােসেন মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে এ হত্যা রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করেন।
এরপর তিনি তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য ক্লু-লেস এ হত্যার সাথে জড়িত পলাতক আসামী মােঃ জুলহাস ওরফে জুলুকে (৫৭) গত ৩ আগস্ট রাতে কামারখদ উপজেলার জামতৈল রেল স্টেশন এলাকা থেক গ্রেপ্তার করে।
এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে। এরপর তাকে গতকাল বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে সিরাজগঞ্জ আদালত হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ফলে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়। আদালতে জুলহাস বলন, ত্রিভুজ পরকীয়া প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে মনমালিন্যর জেরে সহযােগিদের নিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর যমুনার চরে ছােনের ভিতর ফেলে দেয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.