বেলকুচিতে গৃহবধৃকে হত্যা, শশুর প্রভাবশালী হওয়ায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

প্রতীকী ছবি
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নাগগাতী গ্রামের ফাতেমা (২২) নামের এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শশুর প্রভাবশালী হওয়ার কারনে ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ।
গত শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় এই ঘটনা ঘটেছে। তার পর থেকে ফাতেমার স্বামীসহ শশুর বাড়ীর লোকজন পালাতক রয়েছে।
গতকাল রবিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা মৃতদেহ বেলকুচির নাগগাতী তার পিতার বাড়ীতে আনার পর তার পারিবারের সদস্যদের নিকট জানা গেছে, প্রায় ২ বছর আগে উপজেলার নাগগাতী গ্রামের আজাদের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের বিয়ে হয় একই উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই কুয়েতপাড়া গ্রামের হাজী আবু তালেবের ছেলে ইয়াছিনের সাথে বিবাহ হয় এবং তাদের জীবনে ৯ মাসের একটা সন্তান রয়েছে।
ইয়াসিনের বাড়ি তামাই গ্রামে হলেও তাদের পরিবার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় বসবাস করেন। ফাতেমার পিতা অস্বচ্ছ হয়ায় বিবাহের পর থেকেই স্বামী শাশুড়িসহ পরিবারের প্রায় সকলে ওহেতুক মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করে আসছিলো। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসে। বেশ কিছু দিন বাবার বাড়িতে অবস্থান নেয়ার পর গত শুক্রবার গ্রামৈ শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে শশুর বাড়ি পাঠানো হয়। এক দিন না যেতে জানতে পারে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে।
রাতেই পরিবারের সদস্য নারায়ণগঞ্জ গিয়ে লাশ দেখে সন্দেহ হয় তাদের। ফাতেমা খাতুন আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে তার শশুর বাড়ীর লোকজন।
ফাতেমার বাবা আজাদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তিনি সুষ্ঠু  তদন্ত করে বিচারের দাবি করছেন।
এব্যাপারে ফাতেমার শশুর বাড়ীর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাওকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান মুঠোফোনে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদকে জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.