বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে বাগ্‌যুদ্ধ তুঙ্গে

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বেন স্টোকসের অতিমানবীয় ১৫৫ রানের ইনিংস ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল অসি শিবিরে। সেই ভয় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে লর্ডস টেস্ট জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে অ্যাশেজ ধরে রাখায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল অসিরা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন জনি বেয়ারস্টোর স্টাম্পিং। এই আউটের পক্ষে-বিপক্ষে দুই দলের অধিনায়ক ও কোচরা নিজেদের যুক্তি তুলে ধরছেন, যা রীতিমতো বাগ্‌যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
হারের সঙ্গে বেয়ারস্টোর এমন আউট ইংল্যান্ডের জ্বালা যেন বাড়িয়ে দিয়েছে। বেন স্টোকস তো বলেই দিয়েছেন, তিনি এমন কাজ করতেন না। তাঁর কাছে এটা ক্রিকেটের নীতিবিরুদ্ধ মনে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অবশ্য মনে করছেন, তাঁরা কোনো অন্যায় করেননি। ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই তাঁরা আউট করেছেন।
ম্যাচ শেষে এ আউট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস, ‘ওটা আউট ছিল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমি এভাবে জিততে রাজি নই। আমি যদি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হতাম, তাহলে আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করতাম ওভার হয়েছে কিনা। এটা নিয়ে তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতাম। কিন্তু এটা ক্রিকেটের নীতির বিরুদ্ধে। আমি এটা করতাম না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওটা ম্যাচ জেতানো মুহূর্ত। কিন্তু আমি কী ওইভাবে ম্যাচ জিততে রাজি? আমার উত্তর, না।’
স্টোকস এটাও বলেছেন, তিনি হয়তোবা এমন আউটের আবেদন প্রত্যাহার করে নিতেন। ইংল্যান্ড কোচ ম্যাককুলাম আরও এক কাঠি এগিয়ে। অসিদের ওপর থেকে নাকি তাঁর শ্রদ্ধা উঠে গেছে। তাঁদের সঙ্গে বসে বিয়ার পান করতেও রাজি নন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স আউটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন, ‘অ্যালেপ ক্যারি আগের কয়েকটি ডেলিভারিতে লক্ষ্য করেছে বেয়ারস্টো ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর ডেলিভারির সময় কোথাও খেলা থামেনি। বল উইকেটকিপারের হাতে গিয়েছে এবং সে সেটা ছুড়ে উইকেট ভেঙেছে। আমার কাছে বিষয়টা ক্রিকেটের নীতি পুরোপুরি মেনেই হয়েছে। স্বচ্ছভাবে খেলা হয়েছে, নিয়ম মেনে খেলা হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো মানবেন না। শনিবারের ক্যাচটা (মিচেল স্টার্ক ধরেছিলেন, কিন্তু আম্পায়ার বাতিল করেন) যেমন অনেকে মানতে চাননি। আমি সেভাবেই দেখছি।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.