নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার নিজ সন্তান ও দেশবাসীকে কখনো আলাদা করে দেখেননি। এজন্য তিনি পতিত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের শত নির্যাতন, কারাবরণ ও বিনা চিকিৎসায় বার বার মৃত্যুর মুখে যেয়েও দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার কথা বলেননি। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন।
শুক্রবার বিকেলে নওহাটা পৌর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অত্র ওয়ার্ড সিন্দুরকুসুম্বী ভোট কেন্দের নির্বাচনী কমিটি গঠনের লক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনা দেশবাসী ও তার দলের নেতাকর্মীদের রেখে বার বার দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলো। শেষবার গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলেনর মুখে প্রান ভয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বসে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে অন্তরবর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। কিন্তু একটি দল এই নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলা করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ঐ দল নির্বাচন করার জন্য প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। কিন্তু ঢাকাতে বসে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন,. জামায়াতে ইসলাম হচ্ছে একটি মোনাফেক দল। এই দল ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতের পক্ষ হয়ে কাজ করেছিলো। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছিলো। সে সময়ে তারা বাংলাদেশের অনেক মানুষকে হত্যা এবং নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে। শুধু তাইনয় ১৯৯৬ সালে আজাজা বাহিনী গঠন করে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো। এতে করে জামায়াত অনেক লাভবান হয়েছে। তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হাসিনা ফাঁসিকাষ্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এতের তাদের শিক্ষা হয়নি। আবারও ভারতের দালালী শুরু করেছে। এখন তারা পিআর নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করে এই মোনাফেক দল থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মিলন বলেন, এবারের নির্বাচন সম্পুর্ন প্রতিহিংসা মুক্ত করার জন্য বিএনপি কাজ করছে। কিন্তু জামায়াতসহ তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচন বানচাল করা এবং ভোট দখর করার ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার জন্য নির্বাচন কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হলো। এই কমিটি জীবনবাজী ভোটকেন্দ্র সন্ত্রাসমুক্ত রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সবশেষে পাইকপাড়া মোড়ে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি।
৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
এছাড়াও বিএনপি নেতা গোলাম মোর্তুজা, এমদাদুল হক, শরীফুর রহমান শরীফ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মোজাফফর হোসেন মুকুল, নওহাটা পৌর ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আবজাল হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এইচ রানা শেখ, সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি, নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজান, মিলন, আজাদ, সুমন, মকসেদ ও ইলিয়াস, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল রহমানসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #

















