নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের উজ্জল নক্ষত্র। তিনি বিগত সময়ে তেইশ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে সব গুলোতেই বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি সাবেক মেজর জেনারেল, সাবেক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি।
তিনি নিজেও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন। তিনি তিনি একজন মাদার অব ডেমোক্রেসী ও আপোষহীন নেত্রী।
মঙ্গলবার বিকেলে নওহাটা পৌরসভার নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নওহাটা পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অত্র ওয়ার্ড নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দের নির্বাচনী কমিটি গঠনের লক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকরা করেছেন। তার নিজ সন্তান ও দেশবাসীকে কখনো আলাদা করে দেখেননি। এজন্য তিনি পতিত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের শত নির্যাতন, কারাবরণ ও বিনা চিকিৎসায় বার বার মৃত্যুর মুখে যেয়েও দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার কথা বলেননি। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, একজন নারীর সব থেকে প্রিয় হচ্ছে তার নিজ বাড়ী। সেই বাড়ী থেকেও ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা জোর করে বের করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁর স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয় এবং ওয়ান-ইলেভেন এর সময় তার দুই সন্তানকে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে আটক কওে অমানষিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে। এরপর তারা উভয়ে দেশের বাহিরে চিকিৎসা নিতে গেলেও আরাফাত রহমান কোকো আর জীবিত ফিরে আসেননি। তিনি শহীদ হন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো লন্ডনে আছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন আরো বলেন, খুনি হাসিনা দেশবাসী ও তার দলের নেতাকর্মীদের রেখে বার বার দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলো। শেষবার গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলেনর মুখে প্রান ভয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বসে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর আগে দীর্ঘ সতের বছরে বিএনপির বিশ হাজার নেতাকর্মীকে খুন, সতেরশ নেতাকর্মীকে গুম, ষাট লক্ষ নেতাকর্মীর নামে পাঁচ লক্ষ মামলা দায়ের করেছিলো। সেইসাথে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলো।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট ও ফাঁসির আসামী খুনি হাসিনা ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় দুইহাজার ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। এ অবস্থা সহ্য করতে না পেরে দেশের সাধারণ জনগণ ও অভিভাবকরা রাস্তায় নেমে আসে এবং এক দফা আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে ভীত হয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। দেশ ছেড়ে পালালেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে আন্তর্জাতিক আদালত জনগণকে হত্যার দায়ে গত সোমবার ফাঁসির রায় দিয়েছে। এখন দেশবাসী তার গলায় ফাঁসির রশি দেখার অপেক্ষায় আছে বলে উল্লেখ করেন মিলন।
মিলন বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে অন্তরবর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম এই নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলা করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। জামায়াত নির্বাচন করার জন্য প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। কিন্তু তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। জামায়াতে ইসলাম হচ্ছে একটি মোনাফেক দল। এই দল ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতের পক্ষ হয়ে কাজ করেছিলো। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছিলো। সে সময়ে তারা বাংলাদেশের অনেক মানুষকে হত্যা এবং নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে।
শুধু তাইনয় ১৯৮৬ সালে জাতীর সাথে মোনাফেকী করে সাে বক প্রেসিডেন্ট স্বৈরাচার হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এর সাথে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিলো। এছাড়াও ১৯৯৬ সালে আজাজা বাহিনী গঠন করে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো। এতে করে জামায়াত অনেক লাভবান হয়েছে। তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হাসিনা ফাঁসিকাষ্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। এতেও তাদের শিক্ষা হয়নি। আবারও ভারতের দালালী শুরু করেছে। একবার তারা পিআর পদ্ধতি, একবার সংস্কার আবার এখন গণভোট নিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। আসলে তারা জনগণকে এভাবে ধোকা দিচ্ছে। সেইসাথে বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করে জনগণের সাথে আবারও মোনাফেকী করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই মোনাফেক দল থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মিলন।
মিলন বলেন, এবারের নির্বাচন সম্পুর্ন প্রতিহিংসা মুক্ত করার জন্য বিএনপি কাজ করছে। এজন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্র জনগণ যেন নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে সেজন্য নির্বাচন কেন্দ্র কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন। সেইসাথে কমিটি জীবনবাজী রেখে ভোটকেন্দ্র সন্ত্রাসমুক্ত রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নওহাটা পৌর ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলমগীর খান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম খান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
এছাড়াও নওহাটা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামনুর সরকার জেড, বিএনপি নেতা গোলাম মোর্তুজা, আব্দুল হাকিম, এমদাদুল হক, আবজাল হোসেন, কাজী আজিজুল, শরীফুর রহমান শরীফ, মনির হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি ও নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, নওহাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সওচিব গোলাম রব্বানী, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল রহমানসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #

















