বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে দিল্লী’র স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেফতার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লী রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে তদন্তে বিভ্রান্ত করা এবং বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভারতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) একটি গুরুতর অপরাধ।
মঙ্গলবার মন্ত্রীকে আদালতে হাজির করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ১ দশমিক ৬২ কোটি রুপি পর্যন্ত অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৭ সালের আগস্টে জৈন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, জৈন ও তার পরিবারের সদস্যরা শেল ফার্মের মাধ্যমে ২০১১ থেকে ২০১২ সালে ১১ দশমিক ৭৮ কোটি রুপি এবং ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে ৪ দশমিক ৬৩ কোটি রুপি পাচার করেন। অথচ তাদের এ ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কোম্পানিই ছিল না।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তার স্ত্রী ইন্দুসহ কয়েক জন আত্মীয়ের নামে থাকা ৪ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ইডির পক্ষ হতে। এ ঘটনার সময় কেজরিওয়াল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।
অপরদিকে, তাকে গ্রেফতারের পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া টুইট করে অভিযোগ করেন যে হিমাচল প্রদেশের আসন্ন নির্বাচনের দিকে নজর রেখে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যেখানে জৈন হলেন এএপির ইনচার্জ। এটি পুরোপুরি ভুয়া মামলা বলেও দাবি করেন তিনি। (সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া-আনন্দ বাজার)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.