তবে বর্ষাতি খোলা-পরার ব্যাপারে কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হয়। এই সময়টায় ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে মুক্তি নেই। তাই বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে রেনকোট জড়ালে গরমে ঘেমেনেয়ে গায়ে ঘাম বসে যায়। ছোটদের বেলায় স্কুলে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে রেনকোট খুলে মেলে শুকিয়ে নেওয়া উচিত। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা ভিজে বর্ষাতি কোনও রকমে ভাঁজ করে ব্যাগে পুরে রাখে। সেই ভিজে বর্ষাতিই আবার পরে নেয়। এর থেকে এক দিকে ত্বকের নানা সংক্রমণ অন্য দিকে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়ে। শুধু বর্ষাতিই বা কেন ভিজে জুতো-মোজা পরে থাকলেও পায়ে জীবানুর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

এই সময়টায় বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণের মধ্যে ফাঙ্গাস অর্থাৎ ছত্রাকের মাধ্যমে ক্ষতি হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যে সব শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাদের সংক্রমণের প্রবণতা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জীবাণুরা আমাদের ত্বকের উপরে ঘোরাফেরা করে। সুযোগ বুঝলেই আক্রমণ করে একেবারে নাজেহাল করে দেয়। এই সময়টায় বাতাসেও জীবাণুরা ভেসে বেড়ায়। ত্বকে ঘাম জমলে জীবানুরা দ্রুত সেখানে বংশবিস্তার করতে পারে। বর্ষায় যে সব ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে সেগুলি একে একে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি: সংগৃহীত
রিংওয়ার্ম: ১৫ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে এই ছত্রাকের সংক্রমণ সব থেকে বেশি দেখা যায়। তবে আমাদের দেশে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবারই রিংওয়ার্মের সংক্রমণ হয়। প্রতি বছর প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ রিংওয়ার্মে আক্রান্ত হন। প্রায় ৪০ ধরনের ছত্রাক রিংওয়ার্মের জন্য দায়ী। দাদ বা রিংওয়ার্মের ডাক্তারি নাম ‘ডার্মাটোফাইটোসিস’। ত্বকের এই সংক্রমণ শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে। মূলত অপরিচ্ছন্নতা এই ছত্রাকদের দ্রুত বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিজে পোশাক ও জুতো-মোজা অনেক ক্ষণ পরে থাকলে রোগের ঝুঁকি বাড়ে।