বৃষ্টি-ধসে বিধ্বস্ত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ড, মৃত্যু বেড়ে ৮১

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি এবার আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব। হিমালয়ের দুই রাজ্যের পাশাপাশি কয়েক দিন ধরেই উত্তর ভারতের এই রাজ্যে ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল। তার জেরে রাজ্যের হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর, রূপনগরসহ বেশ কিছু জেলায় আকস্মিক বন্যা নেমে আসে। তার সঙ্গে পং ও ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
তবে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি, ধস ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। শুধু হিমাচলেই বুধবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
তবে এ দুই রাজ্যে বৃষ্টি এখনই থামবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া ভবন। আগামী কয়েক দিন ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
হিমাচলের মুখ্য সচিব ওঙ্কারচাঁদ শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, গত তিন দিনে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন নিখোঁজ। রবিবার রাত পর্যন্ত ৫৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
রবিবার থেকে হিমাচলে বৃষ্টির তাণ্ডব বেড়েছে। শিমলাসহ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় মুহুর্মুহু ধস নেমেছে। ধসের জেরে রাজধানী শিমলায় তিনটি এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো হলো সামার হিল, ফাগলি ও কৃষ্ণনগর।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর তথ্য বলছে, গত ২৪ জুন থেকে বর্ষার এই মৌসুমে হিমাচলে ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ জন নিখোঁজ।
ডেপুটি কমিশনার নিপুণ জিন্দল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কাংড়া জেলার ইন্দোরা ও ফতেহপুর থেকে এক হাজার ৭৩১ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। আবহাওয়া ভবন জানিয়েছে, উনা, হামিরপুর বিলাসপুর, কাংড়া, মান্ডি, শিমলা, সোলান ও সিরমুরে আগামী দুই দিন ধরে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হবে।
শিমলার আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা সুরেন্দ্র পল পিটিআইকে জানিয়েছেন, এ বছর জুলাইয়ে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই মৌসুমে গত ৫৪ দিনে ৭৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। উত্তরাখণ্ডের নৈতিতাল, চম্পাবত, উধম সিংহনগর, দেহরাদুন, টিহরী, পৌড়ী ও আলমোড়া জেলায় বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেরাদুনের বিকাশনগর তহসিলের লাঙ্ঘা জাখান গ্রামে ১৫টি বাড়ি ধসে চাপা পড়ে গেছে। তবে আগে থেকেই বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ছাড়াও ধসের কারণে বন্ধ পৌড়ী-কোটদ্বার-দুগাড্ডা জাতীয় সড়ক। পিপলকোটির কাছে হৃষীকেশ-বদ্রিনাথ জাতীয় সড়কের বিশাল অংশ আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.