বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, মোরেলগঞ্জে চার যুগেও হয়নি কাঠের পুল \ আজও ভরসা বাসের সাঁকো

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: ডিজিটাল বাংলার গ্রামীণ চিত্র। চার যুগ পার হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি একটি গ্রামের মানুষের আজও ভরসা একটি বাসের সাঁকো। জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন হলেও হয়নি সাঁকোর পরিবর্তন। দূরভাগ্য এ গ্রামের মানুষের। স্থানীয়দের দাবি পুল কিংবা ব্রীজের।
সরেজমিনে মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,পানগুছি নদীর তীরবর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বদনীভাঙ্গা ৮ নং ওয়ার্ডের দু’পাড়ে মাঝে রয়েছে একটি সংযোগ খাল। এ গ্রামে জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার। দুই হাজার পরিবারের বসবাস। নদীর তীরঘেষা এ গ্রামটি ৪ যুগ অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ছোট বেলা থেকে পার হওয়া সাঁকো আজও দাড়িয়ে আছে একই স্থানে। হয়নি কোন পরিবর্তন।
নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে গ্রামটির চলাচলের রাস্তাঘাট প্রতিনিয়ত বিলীন হওয়ায় সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বদনীভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৮০নং বি পাঠামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সহ গ্রামবাসীদের। এ সাঁকোটি পার হয়ে প্রতিনিয়ত ৩/৪ হাজার মানুষ চলাচল করছে পার্শ্ববতী পাঠামারাসহ বিভিন্ন গ্রামে, আসতে হচ্ছে উপজেলা শহরেও। এ সাকো পেরিয়ে একটি ইট ভাটায় দেড় শতাধিক শ্রমীক প্রতিদিন কাজ করছে।
এক কিলোমিটার পায়ে হেটে গ্রামবাসীদের আনতে হচ্ছে সুপেয় খাবার পানি। একদিকে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাঘাট অন্যদিকে যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও হয়নি সাঁকোর পরিবর্তন।
সাঁকো পার হওয়া ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা, রুবিনা আক্তার, শিশু শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহিম, মারিয়া আক্তার, গৃহিনী সাবিনা ইয়াসমিন, বৃদ্ধ কৃষক আবুল হোসেন হাওলাদার, হাসানুজ্জামান শেখ, আব্দুস ছালাম শেখ একাধিকরা বলেন, ছোট বেলা থেকে এ সাঁকোটি দেখে আসছি এখন ৭০ বছর বয়স সাঁকোটি সাঁকোই রয়ে গেলো। কোন পরিবর্তন হয়নি। বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। কয়েকজন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। স্কুলে ছেলে মেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এ সাঁকোটিতে কাঠের পুল কিংবা ব্রীজ নির্মাণের দাবি ভূক্তভোগী গ্রামবাসীদের।
এ বিষয়ে হোগলাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরামুজ্জামান বিটিসি নিউজকে বলেন, বদনীভাঙ্গা গ্রামের সংযোগ খালের সাঁকোটিতে সংস্কারের জন্য পরিষদ থেকে দু’বার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওখানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি গনেশ পাল ও এম.পলাশ শরীফ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.