বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের মত এবার রাবিতেও ‘ছাত্রলীগের হত্যাচেষ্টা’

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সোহরাব মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের দুই কর্মী। মারধরে শিকার সোহরাবের বাম হাতের দুই জায়গা ভেঙে গেছে।
এ ঘটনাকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার সাথে যোগসূত্র ধরে রাবি ছাত্রলীগের হত্যাচেষ্টা আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- শামসুজ্জোহা হলের ২৫৮ ও ২৩২ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ লাক  ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এরা দুইজনেই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, আসিফ লাক বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে মাস্তানি চাঁদাবাজি।।আর হলে সিট বাণিজ্য করে থাকে। আর নাহিদ গত কয়েকদিন আগে ছাত্রলীগের বড়ায় দেখে। পুলিশ কে গালা গালি করে থাকা। তাছাড়া এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার সূত্র ধরে হল থেকে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের ল্যাপটপ কিছুদিন আগে হারিয়ে যায়, সোহরাব গতকাল রাতে হলের ছাদে তার ৩ জন বন্ধুসহ আড্ডা দিচ্ছিলেন। আসিফ লাক ও নাহিদ তাদের সবাইকে  হলের ২৫৪ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে আসেন, তারপর বাকি ৩ জন শিক্ষার্থী রাবির কিনা তা জানতে চান, পরবর্তীতে  তারা তাদের পরিচয় পত্র দেখালে তাদের ছেড়ে দিয়ে সোহরাবকে ল্যাপটপ চুরিসহ নানা রকম বিষয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করেন আসিফ লাক ও নাহিদ, পরবর্তীতে তাদের মাঝে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে তারা দুজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করে। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে।
সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করে।
হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীরা বিটিসি নিউজকে জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। ডাক্তার জানিয়েছে মাথার ১৫ জায়গায় সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৮নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
তারা আরও বলেন এ ঘটনা স্মরন করিয়ে দেয় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের হত্যাকান্ড, তাকে হত্যা করা হয়েছিল শিবির সন্দেহে আর সোহরাবকে বেধরক পিটানো হয়েছে চোর সন্দেহে, পার্থক্য শুধু এটাই আবরার ঘটনাস্থলেই মারা যায়, আর সোহরাব এখনো বেঁচে আছেন। তবে তারও জীবন সংকটাপূর্ণ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.