অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা জানায়, নিয়ম মেনে পণ্য আমদানি করলেও পরীক্ষণের নামে বিভিন্ন সময় অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও গাড়ি থেকে নামানো পণ্য ও ফাইল আটকে রেখে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে নানা অজুহাতে ফাইল ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে।
কিছু ব্যবসায়ী জানান, শাহাজুর রহমান মোবাইল ফোনে মাসিক মিনিট ও ইন্টারনেট রিচার্জ পর্যন্ত নিতেন। পাটগ্রাম ভ্যাট কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালীনও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, তার কৌশলী অনিয়মের কারণে অনেকে বুড়িমারী দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেশের অন্য স্থলবন্দর ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
একাধিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টও অভিযোগ করেন, তিনি সবসময় নিজেকে সৎ হিসেবে উপস্থাপন করেন, কিন্তু বাস্তবে দুর্নীতিপরায়ণ এবং উগ্র মেজাজে আচরণ করেন। পরীক্ষণের নামে টাকা দাবি এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের কারণে আমদানি-রপ্তানির গতি ব্যাহত হচ্ছে।
শুল্ক স্টেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে মন্দা চলছে। গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয়ও হ্রাস পেয়েছে।
অভিযোগ বিষয়ে পরীক্ষণ কর্মকর্তা (আরও) শাহাজুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি একটাকাও দুর্নীতি করি না। আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার দেলোয়ার হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, “আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেননি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.