বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সব জনসমাগম বন্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকারঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসিদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিয়ে-শাদিসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান এখন বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। পাশাপাশি আমরা বলেছি, ল্যান্ডপোর্ট, সিপোর্ট, এয়ারপোর্টেও স্ক্রিনিং চলছে। সেগুলো যাতে ঠিকমতো দেখেন ও যাতে সেখানে ফাঁকি না দেওয়া হয়। কোয়ারেন্টাইন বিষয়েও তাদের বলেছি। কোয়ারেন্টাইন অনেক সময় স্ল্যাক (ঢিলেঢালা) হয়। কোয়ারেন্টাইনে যারা আছেন অনেক সময় ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যান এবং সংক্রামিত করে, এই বিষয়গুলো বলেছি আপনারা নজরদারিতে রাখবেন, যাতে কোয়ারেন্টাইন ঠিকমতো হয়।’
মাদক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক অনেক বেড়েছে, এখন চারদিকে মাদকের ছড়াছড়ি। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক দেশে আসছে। আইস, ইয়াবার বিষয়ে ডিসিদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে নদী-নালা, খাল-বিল দূষণ করছে শিল্প থেকে, সেগুলো যাতে তারা (ডিসি) খেয়াল করে। তাতে স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। যারা এসব পানি ব্যবহার করছে, তারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের দাবি ছিল, ডিভিশনাল পর্যায়ে হাসপাতাল, আমরা এরই মধ্যে ডিভিশনাল পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণকাজ শুরু করেছি। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন। একেকটি হাসপাতাল সাড়ে চারশো বেডের। যেখানে ক্যান্সার কিডনি ও হার্টের ট্রিটমেন্ট হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম আরও হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। যার মধ্যে থাকবে নিউরো-সায়েন্সের চিকিৎসা, অর্থপেডিক চিকিৎসা, মেন্টাল হেলথ ও স্কিনের চিকিৎসার কার্যক্রম চলমান। তাদের সহযোগিতা আগে যেভাবে পেয়েছি, সেই সহযোগিতা আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। কারণ দেশ যদি অর্থনৈতিকভাবে ভালো থাকতে হয়, তাহলে করোনা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল ও নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা বলবৎ রাখতে হবে।’
‘পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রমেও ওনারা (ডিসি) সাহায্য করছেন। ভ্যাকসিন যাতে সবাইকে অল্প সময়ের মধ্যে দিয়ে ফেলতে পারি। আমরা অলরেডি ১৫ কোটি দিয়েছি। আমাদের হাতে ৯ কোটি ডোজ এখনো রয়েছে। ১২ কোটি টার্গেটেট লোক ভ্যাকসিনেট করতে চাইলে তাদের জন্য সব ভ্যাকসিন আমাদের কাছে মজুত আছে পুরো দেশে। এটা অনেক দেশেরই নেই।’
তিনি আরও জানান, আমরা বুস্টার ডোজ দিয়ে যাচ্ছি, আমরা একমাসের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ ছাত্রকে ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছি। ৯০ শতাংশের বেশি তারা ভ্যাকসিনেটেড হয়ে গেছে। আমরা প্রত্যেকটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেড আইসিইউ, ১০ বেড ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেটা এখন ইনস্টলেশনের পর্যায়ে রয়েছে। আগেই এটা একনেকে পাস করা। সুতরাং, অল্প সময়ের মধ্যে এটা হয়ে যাবে। আমরা আলোচনা করেছি, আশা করি তারা (ডিসি) কঠোর পদক্ষেপ নেবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.