বিড়ি ও সিগারেটসহ জর্দা এবং গুলের দাম বাড়ছে বাজেটে

ঢাকা প্রতিনিধি:   এবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়বে। বিশ্বব্যাপী ধূমপান বিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান, তামাকজাত পণ্যের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় এর ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষে এ দাম বাড়ানো প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি জর্দা এবং গুলের দামও বাড়বে।

আগামী বছর নিম্নতম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ টাকা। সেখানে সম্পূরক শুল্ক ধরা হয়েছে ৫৫ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৬৩ টাকা। এতে সম্পূরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৯৩ টাকা ও ১২৩ টাকা। এখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের বাজেট অনুযায়ী, নিম্নতম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের দাম ৩৫ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য ৪৮ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের দাম ৭৫ ও ১০৫ টাকা। এখানে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ফিল্টারবিহীন ও ফিল্টারযুক্ত বিড়িতে সম্পূরক শুল্ক হার আগের মতোই যথাক্রমে ৩৫ ও ৪০ শতাংশ রাখা হয়েছে। বিড়ির ট্যারিফ মূল্য উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের দাম ১৪ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা থেকে ১৭ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয় বাজেটে। এর মধ্যে করও যুক্ত থাকবে।

অন্যদিকে জর্দা ও গুলের ব্যবহার কমানোর জন্য প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩০ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ১৫ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুটোরই সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.