বিষয়টি বিশ্বাসই হচ্ছিল না : দোয়েল

বিটিসি বিনোদন ডেস্ক: মডেল ও অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল। শোবিজে দোয়েল ম্যাশ নামেও পরিচিত তিনি। নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ‘আলফা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রচারে আসেন মডেল ও অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল। সে সময় সিনেমাটি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
এরপর এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুটি’, বন্ধন বিশ্বাসের ‘লাল শাড়ি’, আহমেদ হুমায়ুনের ‘পটু’সহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে দর্শক দেখেছেন তার অভিনয়ের ঝলক। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক, ওয়েব সিরিজ ও মডেলিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই সুন্দরী।
এদিকে ১২ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে দোয়েলের নতুন সিনেমা ‘আজব কারখানা’। নতুন চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গল্প বলতে গিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাড়ির এলাকা রংপুরে নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী আপুর একটি সিনেমার দৃশ্য ধারণ হয়েছিল। সেখানেই পরিচয়। এ কারণে আপুকে আমি আগে থেকেই চিনতাম। একদিন আপু আমাকে তার সিনেমায় কাজের প্রস্তাব দেন। আমি প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।
তিনি অভিনয়শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব চুজি। সিনেমায় চরিত্রের জন্য একটি মেয়ের জীবনের স্ট্রাগল দরকার। এ ধরনের চরিত্র তিনি নাকি আমার মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। নির্মাতা তার বাস্তব জীবনের অনেক কিছু সিনেমায় ইনপুট করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে শুটিংয়ে একটু চাপ অনুভব করেছি।
সিনোময় কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে দোয়েল বলেন, ‘আজব কারখনা’ আমার ক্যারিয়ারের ব্যান্ড্রিং কাজ। চার বছর আগে সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলাম। শুটিং শেষ করার পরই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এখন যখনই কোনো সিনেমার কাজে যাই তখনই এ সিনেমাটির ব্যাপারে সবাই জানতে চান।
কারণ, এ সিনেমায় কাজ করেছেন কলকাতার তারকা অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এত বড় একজন তারকার সঙ্গে এর আগে কাজ করার সুযোগ হয়নি। সহযোগিতাপরায়ণ একজন শিল্পী তিনি। টিমটাও ছিল বেশ মজার। নারী নির্মাতা, নারী প্রযোজক। বেশ ফুর্তি নিয়ে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় কাজ শেষ করেছিলাম।
বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরির পাশপাশি ফাঁকে ফাঁকে চলে সিঙ্গেল মাদার দোয়েলের অভিনয়। এ ছাড়াও মডেলিং, ফটোসুটসহ নানা কাজের ভেতর ব্যস্ত সময় কাটে তার। একমাত্র সন্তানকে ঘিরেই তার সুখের পৃথিবী। তার সঙ্গে নানা খুনসুটি ঝাগড়াঝাটি-ভালোবাসায় কাটছে মধুর সময়।
আবার বিয়ে করবেন কি না, এমন প্রশ্ন শুনেই বললেন, আবার বিয়ে! যে অভিজ্ঞতা হয়েছে… আমি এখন কেবল প্রতিদিন আরও শক্তিশালী হয়ে আগামীর পথ চলতে চাই। এখন আমি নিজের গল্প নিজেই সাজাব। যে গল্পে ভয় নেই। পরাজয় নেই। এখনও তো জীবনটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। জীবনে শ্রেষ্ঠ সময়টা কাটাচ্ছি– এটিই পরম পাওয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.