বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের ক্রমাবনতি

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের তালিকা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান,বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকেও তলানিতে। সম্প্রতি রাষ্ট্র সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক বিশ্বজোরা সমীক্ষায় উঠে এল এই তথ্য। তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত সরকারের নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রক। রাষ্ট্র সংঘ অপুস্টি,শিশুবিকাশ ও শিশুমৃত্যুর ওপর এই সমীক্ষা করে থাকে।
রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের স্থান নেমে ১০১নম্বরে।
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (৯২),বাংলাদেশ (৭৬),নেপাল (৭৬)ও মায়ানমার (৭১)।
যা দেখে যারপরনাই অস্বস্তিতে নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রক। তাদের তরফ থেকে বলা হয় রাষ্ট্র সংঘ যথাযথ পর্যালোচনা না করেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সার্বিক করোনা পরিস্থিতিকে বিচারে আনা হয় নি। ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি পৃথক কমিটি অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া দাবি করে,করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ গৃহবন্দি। জীবনজীবিকা যেখানে প্রশ্নের মুখে। উৎপাদন ব্যাহত। শিশু থেকে শুরু করে সবাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে সেখানে এই রিপোর্ট বেমানান।
প্রসঙ্গত: গতবছর এই তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ৯৪।আর সেখান থেকে ক্রমাবনতি হওয়ায় বিরোধীরা দূষছে সরকারের অবাস্তব পরিকল্পনা ও ভ্রান্তনীতিকে।
যদিও অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সিইও শ্রী অমিতাভ বেহার জানিয়েছেন,ভারতের অপুস্টিজনিত সমস্যা নতুন নয়।সরকারের ন্যাশনাল ফেমিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্টই এর প্রতিফলন আছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী,২০১৫-২০১৯সালের পর যেসব শিশু জন্মেছে তারা বিগত বছরগুলির তুলনায় অনেক বেশী অপুস্টিজনিত রোগের শিকার।
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে শিশু ও নারী বিকাশ খাতে বেশী অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.