বিশ্বসেরা গবেষকের সারিতে বগুড়ার ড. আজহারুল

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দি’র কৃতি সন্তান ড, একেএম আজহারুল ইসলাম বিশ্ব বিজ্ঞানী এবং বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং এ পদার্থ বিজ্ঞানে বাংলাদেশে ৪র্থ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম) স্থান অর্জন করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন মেয়াদের সাবেক ভিসির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলাে এইচ ইনডেক্স, আই-টেনইনডেক্স, টোটাল সাইটেশন এবং অন্যান্য।
বিজ্ঞানের সকল ধারার বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী, গবেষণা, অর্জন ইত্যাদি বৈজ্ঞানিক কর্মকান্ডের মূল্যায়নে সারা পৃথিবীতে কর্মরত প্রায় ৮৮ লাখ বিজ্ঞানীর মধ্যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ভিত্তিতে ৭ লক্ষাধিক বৈজ্ঞানিকের র্যাংকিং করা হয়।
এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ জনসহ বাংলাদেশের ১৭৯৪ জন বিজ্ঞানী ব্ল্যাংকপ্রাপ্ত হন। এতে এশিয়া মহাদেশের ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৩ জন এবং বিশ্বের ৭ লাখ ৯ হাজার ৩৮৯ জন বিজ্ঞানীর র্যাংকিং করা হয়। নির্বাচিত বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে ভিসি ড. একেএম আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশে ৪র্থ, এশিয়া মহাদেশে ১ হাজার ৫৫১তম এবং বিশ্বে পদার্থ বিজ্ঞানীগণের মধ্যে ৮ হাজার ৭৭৩তম র্যাংকিং লাভ করেন।
তিনি ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০২ সালে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। গবেষণা জার্নালে তার ২৬৭টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এসবের প্রায় সবগুলাে প্রবন্ধই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে।
তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে গােল্ড মেডেলসহ এ পর্যন্ত মােট ১৬টি পুরস্কার লাভ করেছেন। এরমধ্যে পদার্থ বিজ্ঞানে গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথম ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ISESCO পুরস্কার লাভ করেন। এ যাবৎ তিনি ১৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
এরমধ্যে নয়া দিল্লি থেকে একটি, নিউইয়র্ক থেকে একটি এবং বৈরুত থেকে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও দেশ ও বিদেশে পদার্থ বিজ্ঞানসহ অন্যান্য জনপ্রিয় বিষয়ে তার ১৪৯টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি এখনও সক্রিয়ভাবে গবেষণা ও গ্রন্থ রচনা করে যাচ্ছেন। ড. ইসলাম ১৯৪৬ সালে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের খােলাইল গ্রামে এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
দেশের একমাত্র শিক্ষা বাের্ড ঢাকা থেকে তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ৮ম স্থান অধিকার করেন। তিনি পরবর্তী সকল পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। মাস্টার্স পরীক্ষায় কৃতিত্বের
স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৭ সালে সমগ্র পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট পদক প্রাপ্ত দুজন ব্যাক্তির মধ্যে তিনি একজন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বগুড়া প্রতিনিধি রাহেনুর ইসলাম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.