টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠান উইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি (২৬) ও অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন শাই হোপের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে গড়ে তোলেন ৬৩ রানের জুটি। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন আরভিন। ৪৭ রানে তাকে ব্রেন্ডন কিংয়ের ক্যাচ বানান রোস্টন চেজ।
এরপর হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে। বিনা উইকেটে ৬৩ থেকে ১১২ রান তুলতে নেই চার উইকেট। তবে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। অর্ধশতক পান দুজনই। রাজা আউট হন ৬৮ রান করে, বার্ল থামেন ঠিক ৫০ রানে। টেলএন্ডাররা খুব বেশিকিছু করতে না পারায় ২৬৮ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে কিমো পল পান তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট পান আলজারি জোসেপ ও আকিল হোসেন।
২৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরুই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ বলে ২০ রান করে কিং আউট হলে ভাঙে ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি। ৪৬ রানে পতন হয় দ্বিতীয় উইকেটের। তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও শাই হোপ মিলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টায় বাধ সাধেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫৬ রান করা মায়ার্সকে ফেরান তিনি।
আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান শাই হোপ ও নিকোলাস পুরান এদিন বেশিকিছু করতে পারেননি। হোপ ৩০ ও পুরান করেন ৩৪ রান। শেষদিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন চেজ। ৪৪ রানে তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন চাতারা। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানে থামতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে টেন্ডাই চাতারা নেন তিন উইকেট। সিকান্দার রাজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি পান দুটি করে উইকেট।
ব্যাট ও বল হাতে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখানোয় ম্যাচসেরা সিকান্দার রাজার হাতেই তালুবন্দি হলো জিম্বাবুয়ের জয়।
এই জয়ে গ্রুপ এ’ থেকে সুপার সিক্স নিশ্চিত করল জিম্বাবুয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে সুপার সিক্স। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.