বিশ্বকাপের আজ মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্কএবারে বিশ্বকাপের আগে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট বোদ্ধাদের কণ্ঠে ফেবারিট হিসেবে যাদের নাম শোনা গেছে তাদের মধ্যে ওপরের দিকেই ছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

আজ রবিবার এই দুটি দলই মাঠে নামছে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে। অস্ট্রেলিয়া আগের দুটি ম্যাচ জিতে আছে ফুরফুরে মেজাজে। ভারতও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করেছে।

অন্যদিকে ভারতের জয় মাত্র তিনটি। বিশ্বকাপে এই দুই দলের লড়াইয়ের কথা বললে সবার আগেই স্মরণ করতে হয় ২০০৩ সালের ফাইনালের কথা। সেবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া সেঞ্চুরিয়নে এই ভারতকে হারিয়েই জিতেছিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
আবার ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। আবার এই ভারতই গেল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ছিটকে যায়।

অস্ট্রেলিয়া আরেকটি সুখস্মৃতি নিয়ে আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায় মাঠে নামবে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ভারতের মাটিতেই বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিতেছে অ্যারন ফিঞ্চরা। সেটাও আমার স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের মতো তারকা ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে। এবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন এই দুই ক্রিকেটার। ফলে অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাসের পারদ আরো তুঙ্গে।

দুশ্চিন্তার কারণও আছে অস্ট্রেলিয়ার। কারণ সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে দলটি জিতলেও একদমই ফর্মে ছিল না দলের টপ অর্ডার। বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত স্বয়ং ব্যাটিং কোচ রিকি পন্টিংও। তিনি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বলেন, এটা কোনো ভণিতা ছাড়াই বলা যায় যে, আমাদের টপ অর্ডার হতাশ করেছে।

তবে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে কথা বলে আমি বুঝেছি উইকেট থেকে বোলাররা কিছু অসমান বাউন্স পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে। বিশেষ করে শর্ট বলগুলো খেলতে আমরা বেশ ভুগেছি। ভারতের বিপক্ষে আমাদের আর ভোগার সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে তাই শর্ট বল মোকাবেলা করাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ।’

পন্টিং সবচেয়ে বড় হুমকির কারণ মনে করছেন রোহিত শর্মাকে। রোহিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনন্য এক সেঞ্চুরি দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছেন। তার ব্যাপারে বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক পন্টিং বলেন, আমি মুম্বাইয়ে কয়েক বছর রোহিত শর্মাকে কোচিং করিয়েছি। ও ক্লাসিক একজন ব্যাটসম্যান। আশাকরি ওর দুর্বলতাগুলো আমি আমার বোলারদের ধরিয়ে দিতে পারবো।

মোট ম্যাচ ১৩৬

অস্ট্রেলিয়ার জয় ৭৭

ভারতের জয় ৪৯ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.