বিশেষ অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি কেসিসি নির্বাচন পরিচালনায় বিএনপির ১৩টি উপ-কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ সভা শনিবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এবং কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সভার শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী অবস্থায় গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অসুস্থতার কারণে পরপর দুই দিন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়েও তার সাক্ষাৎ না পেয়ে ফিরে এসেছেন। খুলনা বিএনপির যৌথ সভা থেকে অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তি এবং তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এ সময় তার আশু সুস্থতা ও আরোগ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
সভা থেকে কেসিসি নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জেলা এবং মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়। একই সাথে বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ১৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয়।
উপ কমিটিসমূহের মধ্যে রয়েছে : সাংগঠনিক উপ কমিটি আহবায়ক মোঃ ফখরুল আলম ও সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, প্রচার উপ কমিটি আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও সদস্য সচিব আজিজুল হাসান দুলু, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ পথসভা অভ্যর্থনা ও আবাসন বিষয়ক উপ কমিটির আহবায়ক সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম নান্নু ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মন্টু, মিডিয়া উপ কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এহতেশামুল হক শাওন, গণসংযোগ পথসভা ও প্রচারণা উপ কমিটির আহবায়ক মোঃ শফিকুল আলম তুহিন ও সদস্য সচিব মাহবুব হাসান পিয়ারু, নির্বাচন উপকরণ বন্টন উপ কমিটির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব শামীম কবির,

পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ও ট্রেনিং উপ কমিটির আহবায়ক মেহেদী হাসান দীপু ও সদস্য সচিব শেখ সাদী, আইন সহায়তা উপ কমিটির আহবায়ক এ্যাড. বজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. মোল্লা মাসুম রশিদ, এ্যাড. শহিদুল আলম ও সদস্য সচিব এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মহিলা টিম পরিচালনা উপ কমিটির আহবায়ক রেহানা ইসা ও সদস্য সচিব এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, দপ্তর উপ কমিটির আহবায়ক মহিবুজ্জামান কচি ও সদস্য সচিব এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, অর্থ উপ কমিটির আহবায়ক আব্দুল জলিল খান কালাম ও সদস্য সচিব ইউসুফ হারুন মজনু, চিকিৎসা সহায়তা উপ কমিটির আহবায়ক ডাঃ রফিকুল হক বাবলু ও সদস্য সচিব ডাঃ শওকত আলী লস্কর এবং নির্বাচনী মেনুফেস্টো তৈরি উপ কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মাজহারুল হান্নান।
সভা থেকে কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়নের বাইরে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরকে বর্তমান চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার এবং মেয়র পদে ধানের শীষ ও কাউন্সিলর পদে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মকভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
সভা থেকে নির্বাচনপূর্ব সন্ত্রাস দমনের নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানোর তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সভা থেকে বলা হয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে দলের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক হায়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন। তারা সন্ত্রাসী নন, অস্ত্রবাজ নন। অতএব অভিযানের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন না করার জন্য সভা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়ে আসন্ন নির্বাচেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আমীর এজাজ খানের পরিচালনায় সভায় নগর বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, মোল্লা আবুল কাশেম, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এ্যাড. বজলুর রহমান, এ্যাড. এস আর ফারুক, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, শাহজালাল বাবলু, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সিরাজুল ইসলাম, রেহানা আক্তার, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব

 

কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, এ্যাড. গোলাম মাওলা, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, ইকবাল হোসেন খোকন, জালু মিয়া, এহতেশামুল হক শাওন, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মুর্শিদ কামাল, একরামুল কবির মিল্টন, একরামুল হক হেলাল, শামসুজ্জামান চঞ্চল, মাহবুব হাসান পিয়ারু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, কামরান হাসান, এস এম কামাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, আবু সাঈদ শেখ, মাহবুব হোসেন, নিঘাত সীমা প্রমুখ। জেলা বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, মনিরুজ্জাামন মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু, আশরাফুল আলম নান্নু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, খান আলী মুনসুর, সাইফুর রহমান মিন্টু, আবুল খয়ের খান, আব্দুর রকিব মল্লিক, মোস্তফা উল বারী লাভলু, ডাঃ আব্দুল মজিদ, মোশারফ হোসেন মফিজ, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, মুর্শিদুর রহমান লিটন, মামীম কবির, তৈয়েবুর রহমান, এ্যাড. আব্দুস সাত্তার, মোল্লা সাইফুর রহমান, উজ্জল কুমার সাহা, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, খান ইসমাইল হোসেন, পূর্ণিমা হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, শামসুল বারিক পান্না, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, রাহাত আলী লাচ্চু প্রমুখ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.