বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রিগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে একটি যাত্রীবিমান ও হেলিকপ্টার সংঘর্ষের পর এখন পর্যন্ত ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর নদীতে পড়ে যাওয়া দুই আকাশজানের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন।
এদিকে গতকালের এই দুর্ঘটনায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেছেন, বুধবার রাতে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের ধাক্কা লেগে ঘটা দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা নেই। এর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
এই দুর্ঘটনার কারণ জানেন না বলে স্বীকার করলেও ট্রাম্প এই দুর্ঘটনার জন্য দোষারোপ করেছেন তার পূর্বসূরিদের জাতি বা লিঙ্গভিত্তিক অগ্রাধিকারের ‘ডাইভার্সিটি, ইকুয়্যিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন’ (ডিইআই) উদ্যোগকে।
ট্রাম্প বলেছেন, তার বিশ্বাস, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য যাদেরকে নিয়োগ করা হয়ে এসেছে, তারা সবসময় যোগ্য লোক নন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের আমলে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্য আনা হয়েছিল, তাতেই উড়োজাহাজ চলাচলে নিরাপত্তার মান কমেছে। আর সেটিই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে। যে দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের সব আরোহীই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই ডিইআই কর্মীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন তিনি। আর এখন ট্রাম্প স্পষ্ট করেই তার পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসনকে দোষারোপ করছেন। বিশেষ করে সাবেক পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিগকে তুলোধুনো করেছেন তিনি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.