BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো হাসিনা : মিলন

বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো হাসিনা : মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৭ নভেম্বর হচ্ছে বিএনপির একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে বাংলার রাখালরাজা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টমেন্টের বন্দি অবস্থা থেকে  মুক্ত করেছিলো সিপাহী-জনতা। তৎকালীন সরকার মেজর জিয়ার পরিবারসহ ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবর্তিত সময়ে দেশ যখন অন্যাদিকে মোড় নিয়েছিলো, ঠিক তখনই জিয়ার প্রয়োজন অনুভব করে সাধারণ জনগণ ও সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ভালবাসতেন। এজন্য তারা এই দিনে আন্দোলন করে মেজর জিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মুক্ত করেন বলে উল্লেখ করেন  বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

শুক্রবার বিকেলে পবা থানা মোড়ে নওহাটা পৌর বিএনপি ও পবা উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি পূর্ব আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, পতিত সরকার ৭নভেম্বরকে চিরতরে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে নানা ধরনের অপকৌশল করেছিলো। কিন্তু বিএনপি শত বাধা উপেক্ষা করে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করেছে। আজও পালন করছে বাঙালী জাতি। দেশে কোটি কোটি লোক এইদিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করছে।

মিলন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরে প্রথমে গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার করেন। কারণ গণতন্ত্রই হচ্ছে ক্ষমতায়নের মুল চাবিকাঠি। সবার আগে বাংলাদেশ। এই দেশকে সুন্দরমত গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।  বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে মিলন বলেন, একটি দল দেশকে আবারও পিছিয়ে নিতে কাজ করছে। তারা নির্বাচন বানচালে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র বিএনপিকে রুখে দিতে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জরেসরে চলছে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য মাস ও ক্ষণ ঘোষনা করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকার। কিন্তু এখন জামায়াত নির্বাচন বাতিলের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করলেও তারা প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করেছে। অথচ দেশের জনগণকে ধোকার মধ্যে রাখতে তারা ছলনার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান তিনি। এই ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্য, ঐক্য ও ঐক্য থাকতে বলে জানান মিলন। সেইসাথে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে মাঠে থাকার আহ্বান তিনি। বক্তব্য শেষে বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হয। প্রধান অতিথি এই র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। নেতাকর্মী পবা থানার মোড় হতে র‌্যালি নিয়ে নওহাটা কলেজ মোড়ে এসে শেষ করেন।

আলোচনা সভা ও র‌্যালিতে সভাপতিত্ব করেন নওহাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ ও আব্দুুল মান্নাফ মুন্নাফ, নওহাাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

এছাড়াও জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত ও সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, বিএনপি নেতা গোলাম মোর্তুজা, এমদাদুল হক, শরীফুর রহমান শরীফ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ড. মোজাফফর হোসেন মুকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, নওহাটা পৌর ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আবজাল হোসেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এইচ রানা শেখ, সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি, নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজান, মিলন, আজাদ, সুমন, মকসেদ ও ইলিয়াস, জেরা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রুমেনা হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদা বেগম ও সাংগঠনিক সম্পাদক রীতা খাতুন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল রহমানসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ