বিপুল খরচে টালমাটাল নাসার আর্টেমিস মিশন?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একেবারে ‘অল্প খরচ’-এ চন্দ্রযান ৩ মিশন শেষ করেছে ইসরো। কিন্তু, এবার চন্দ্র মিশনের বাজেট সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নাসাকে! ইউএস গর্ভমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিস (জিএও) থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, নাসার স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) রকেট যা আর্টেমিস মিশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে, তা ‘বাজেটের বাইরে’। পাশাপাশি বাজেট নিয়ে নাসাকে সচেতনও করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাজেট যে বেশি হচ্ছে সেই বিষয়টি একপ্রকাশ স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। শুধু তাই নয়, আগামীদিনে যাতে খরচ কিছুটা কমসমের মধ্যে রাখা যায় সেই জন্য রোডম্যাপও তৈরি করছে তারা। আর সেই জন্য নেয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। এরমধ্যে অন্যতম হল- দক্ষতার দিক থেকে কোনও কমতি না রাখা, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য সকলকে উৎসাহিত করা এবং খরচ কমানোর বিভিন্ন চেষ্টা করতে হবে।
উল্লেখ্য, নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের লক্ষ্য হল মানুষকে চাঁদে পৌঁছে দেয়া। আর এই মিশনের অন্যতম হাতিয়ার এসএলএস রকেট। ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে এই রকেট প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু, এসএলএস প্রোগ্রাম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছিল। এরমধ্যে অন্যতম ছিল এটির বাজেট অত্যন্ত বেশি এবং খরচ নিয়ে অস্বচ্ছতার একটি অভিযোগও উঠেছিল। জানা গিয়েছে, জিএও নাসাকে ২০১৪ সাল থেকে খরচের একটি খতিয়ান তৈরি করার কথা বসেছে। সাম্প্রতিক বাজেটে এসএলএস প্রোগ্রামের জন্য ১১ বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে নাসাকে। আর এই অর্থেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চার বছর কাজ করতে হবে। আর এর আগে ১২ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এই মিশনটিতে।
সবমিলিয়ে এসএলএস প্রোগ্রাম এখনও পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণার অন্যতম ব্যয়বহুল মিশন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আর্টেমিস মিশনের সাফল্যের জন্য এসএলএস রকেটের সাফল্য পেতে চায়ছে নাসা। প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩ স্বল্প খরচের মধ্যে অত্যন্ত সফল মিশন। এমনকী, ভারত যে টাকায় মহাকাশযান করেছে তা অনেক হলিউড ছবির মোট বাজেটের থেকেও কম। আর এই সাশ্রয় মনোভাবের প্রশংসা করেছে গোটা বিশ্ব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.