বিনা টেন্ডারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ, পোষ্ট অফিস কর্মকর্তা বিরুদ্ধে!

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরীতে বিনা টেন্ডারে বনজ ও ফলজ সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে পোষ্ট অফিস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যেও। চার লাখ টাকা মূল্যের বনজ ও ফলজ সাতটি গাছ বিক্রি করা হয়েছে মাত্র প্রায় দেড় লাখ টাকায়।
অথচ পোষ্ট অফিসের এক কর্মকর্তা বলছেন, এই গাছ কাটার জন্য টেন্ডারের প্রয়োজন নেই। তবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া না হলেও গোপনে বিজ্ঞপ্তি হয়েছে। গোপনেই এই কাজ করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রয়ারী বেলা ১১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ঘোড়ামারা পোষ্ট অফিসে এ গাছ কাটার ঘটনা ঘটে। গাছগুলো ক্রয় করেছেন নগরীর লক্ষীপুর এলাকার মো. মেরাজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি শ্রমিক দিয়ে গাছগুলো কাটা শুরু করলে বিষয়টি স্থানীয়দের পড়ে। পরে স্থানীয়রা এই গাছ কাটার বিরোধীতা করেন।
স্থানীয়রা জানান, পোষ্ট অফিস চত্বরে বনজ ও ফলজসহ মোট ৭টি গাছ রয়েছে। বনজ গাছের মধ্যে মেহগুনি ৩টি, ২টি নিম গাছ, ১টি শালগাছ ও একটি আম গাছ। এই গাছগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য চার লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার মো: মেরাজ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি যথাযথ প্রক্রিয়ায় গাছগুলো ক্রয় করেছি এবং টেন্ডারের মাধ্যমেই ছয়টি গাছ পেয়েছি। আমার দরপত্রে গাছগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও জানান তিনি।
তবে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী জিপিও‘র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, গোপনে ছয়টি বনজ ও ফলজ গাছের টেন্ডার আহবান করা হয়। তবে বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেওয়া হয়নি। এটা সিক্রেট (গোপন) টেন্ডার। এই কাজ গোপনেই করতে হয়।
তবে গাছ কাটার বিষয়টি ডিসি অফিস, কমিশনার অফিস, সিটি কর্পোরেশন, বন বিভাগসহ আমাদের জিপিও‘র বিভিন্ন দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। ছয়টি গাছের মূল্য কত টাকা ধরা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি গোপন ব্যাপার, আমরা এটা প্রকাশ করিনা। পরে তিনি এ প্রতিবেককে তার দপ্তরে চা পান করার দাওয়াত দেন। বলেন, সাক্ষাতে কথা বলবেন তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.