বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

(বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী–ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতির কারণে ১৬ মে থেকে কড়া বিধিনিষেধে চলে গিয়েছিল বাংলা। নবান্নের নির্দেশ ছিল, ৩০ মে পর্যন্ত চলবে এই কার্যত লকডাউন প্রক্রিয়া।
কিন্তু রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। তাই সেই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দয়া করে লকডাউন কার্ফু এসব বলবেন না। বিধিনিষেধ জারি থাকছে এটাই বলুন।’ অর্থাৎ, সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যে সমস্ত গণপরিবহণ বন্ধ থাকছে আপাতত ১৫ জুন পর্যন্ত ৷
সরকারি- বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অটো, ফেরি পরিষেবা- সবকিছুর চলাচলের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে ৷ বন্ধ হচ্ছে মেট্রো পরিষেবাও ৷ শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অটো, ট্যাক্সির মতো যানবাহনও রাস্তায় বেরোতে পারবে না ৷ তবে বিমানবন্দর থেকে চালু থাকবে ট্যাক্সি পরিষেবা ৷ আগামী ৩০ মে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি ছিলই, তা বাড়ানো হল ১৫ জুন পর্যন্ত। রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আন্তঃ রাজ্য বাস, ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকছে ১৫ জুন পর্যন্ত ৷
জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও রাস্তায় বেরনোর উপর কড়াকড়ি জারি থাকছে ৷ রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বেরোতে পারবেন না ৷ রাজ্য প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত কেউই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না ৷
তবে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও চালু খোলা থাকবে পেট্রোল পাম্প, গাড়ি মেরামতির দোকান ৷ সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে ৷ চালু থাকবে সমস্ত অনলাইন পরিষেবা ৷ মুদি খানা, মাছ. মাংসের দোকানও সকাল ৭টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ৷
মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত৷ তবে চা বাগানগুলির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালু রাখা যাবে ৷ জুট মিলগুলি ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু রাখা যাবে ৷ বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জন জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ সৎকারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ জন একত্রিত হতে পারবেন ৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.