বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কেরা তুমুল ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভায় বিজেপির বিধায়কেরা রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আগাম নোটিশ ছাড়াই আলোচনা চাইলে অধ্যক্ষ তা খারিজ করে দেন। তাতে বিধায়কেরা পাল্টা প্রতিবাদ করে এবং বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পাল্টা নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দিতে গেলে তুমুল বাদানুবাদ হয়। শাসক দলের সদস্যরা পরিবেশ শান্ত করতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে হাতাহাতি ও রক্তপাতের সৃষ্টি হয়।
কোন্নগরের টিএমসিপি বিধায়ক অসিত মজুমদার আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আহত বিধায়ক অভিযোগ করেন,বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ঘুঁসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয় ও তাঁর চশমা ভেঙে দেওয়া হয়।
এছাড়াও অন্যান্য বিধায়কেরা কমবেশী আহত হন বলে খবর।
এই ঘটনার পরে অধ্যক্ষ শুভেন্দু অধিকারী সমেত বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন।আপাতত আগামী বর্ষাকালীন ও শীতকালীন অধিবেশনে তাঁরা থাকতে পারবেন না।
এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বলেন, এইগুলো সব শাসক দলের চক্রান্ত। তাঁরাই গায়ের জোরে মহিলা সমেত আমাদের বিধায়কদের ওপর চড়াও হয়।
আগে থেকেই বিধিনসভায় সিভিল ড্রেসে পুলিশ মোতায়েন করে আমাদের ওপর আক্রান্ত করার পরিকল্পনা করে।
আমাদের সাসপেন্ড করলেও গনতান্ত্রিক ভাবে আমরা আন্দোলন করব। বিধানসভার বাইরে মক সভা করব।
শাসক দলের পক্ষে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, যাঁরা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাঁদের অহেতুক ঝামেলা ও বিধানসভা ভাঙচুর করা নিত্যদিনের রুটিন হয়ে গেছে। বিধানসভা গুন্ডামি করার জায়গা নয়।যা করার বাইরে গিয়ে করুক।বিধানসভায় নয়।
ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষ বিধানসভার সেক্রেটারিকে বলেছেন কি কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার একটা রিপোর্ট দিতে।
এহেন আচরণ ও রক্তপাত কবে বিধানসভায় হয়েছিল অনেক শীর্ষ স্তরের ও বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা বিধায়কেরা মনে করতে পারছেন না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.