বিধবাকে গণধর্ষণ : পরে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: এবার লক্ষ্মীপুরে এক বিধবা নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘরে ঢুকে গণধর্ষণের পর ওই বিধবা নারীর (৩৮) হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে বশত ঘরের পেছনে ফেলে যায় ধর্ষকরা।

গতকাল রবিবার (০৪ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নোয়খালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) ওই নারী নিজে বাদী হয়ে প্রতিবেশী জামালসহ ৫ জনকে আসামী করে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী জামাল (২৮) ও তার সহযোগী সোহেলকে (২৬) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত জামাল ওই গ্রামের সৈয়দ আহাম্মদ এবং সহযোগী সোহেল একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর ওই নারী একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কোডেক কলোনিতে বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর নিজ বসতঘরে একাই থাকতেন তিনি। একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় জামালসহ কয়েকজন বখাটে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

সম্প্রতি এ নিয়ে ওই নারীকে মারধর করে আহত করার ঘটনায় আদালতে মামলাও হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার রাতে ঘরে ঢুকে জামালসহ ওই ৫ যুবক তাকে (বিধবা নারীকে) গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার মুখে কসটেপ লাগিয়ে ও হাত পা বেঁধে বশত ঘরের পেছনে ফেলে যায় অভিযুক্তরা।

ভোর ৫টার দিকে কাতরানোর আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত ওই বিধবা নারীর স্পর্শকাতর স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বিষয়টি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে। বাকী অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি মো. আসলাম সরকার আসলাম।  #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.